কোলকাতা সিনেমা জগতের জনপ্রিয় তারকা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর প্রয়ানের পর তার স্ত্রী সংযুক্তা চ্যাটার্জিকে ও তার পরিবারকে বেশকিছু বিষয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ তার প্রয়ানের পর নানাভাবে সমালোচনা শুরু হয়। এই সমস্ত সমালোচনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা চ্যাটার্জী মিডিয়া থেকে সবসময় দূরে থাকার চেষ্টা করতেন। কিন্তু মাঝে মাঝে মিডিয়ার সামনে আসতে হতো সমালোচনার প্রতিবাদ জানাতে।
সম্প্রতি মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন সংযুক্তা চ্যাটার্জি। তার সঙ্গে তার প্রয়াত স্বামীর ছবিও নিয়েছিলেন তিনি। আর এখানেই বাঁধে বড় ধরনের বিপত্তি। অভিষেকের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, তাদের ভ্রমণের ছবি দেখে কিছু নেটিজেন ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, তিনি সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এটি করেছিলেন।
কিন্তু সংযুক্তা চ্যাটার্জির মন্তব্য, ‘আমার সহানুভূতি লাগবে কেন? আমি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। আমি বর্তমানে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ফিটনেস কোম্পানিতে কাজ করছি। অভিষেকের প্রয়ানের পর থেকে আমি আমার সংসার চালাচ্ছি।’
নেটগারিকদের কটূক্তির জবাবে অভিষেকের স্ত্রী লিখেছেন, আমি সহানুভূতিতে বাঁচি না। কারও সহানুভূতি, করুণা নিয়ে বাঁচতে নেই। মানুষ যদি এই আবেগকে হাস্যকর মনে করেন, তা হলে আমি সেটি তাদের রসবোধের উপর ছেড়ে দিলাম।’
সংযুক্তা চ্যাটার্জির দাবি, অভিষেক নেই কিন্তু তার শক্তিতে হাঁটছেন তিনি। প্রিয়জনকে হারিয়ে অনেকেই ফ্রেমবন্দি করেন। কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি। কারণ, ফ্রেমবন্দি হওয়ার পর অভিষেক তাকে স্বপ্নে অনুরোধ করেছিলেন তা না করতে। তাই সে তার প্রয়াত স্বামীকে সাথে নিয়ে প্রতিদিনই এভাবেই কাটান সময়।
একমাত্র মেয়ে ডলের জন্মদিনে অভিষেকের একটি ছবি বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন সংযুক্তা। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে তাকে বাড়ি ফিরতে হয়। কারণ গাড়িতে তিনি নাকি অভিষেকের গলা শুনতে পান। প্রয়াত অভিনেতা তার কানে ফিসফিসিয়ে বলেন, ‘ডলের জন্মদিন, আর আমাকেই রেখে গেলে?’ অভিষেকের স্ত্রী জানিয়েছেন, এই কথা শুনে তিনি অবাক হয়েছেন এবং তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।
সংযুক্তা চ্যাটার্জী জানান, অভিষেককে নিয়ে বাইরে বের হলে তারা সব সময় সাঁই বাবার ছবি সাথে নিয়ে বের হতেন। কিন্তু এখন আর অভিষেক নাই, তাই সাঁই বাবার জায়গায় অভিষেকের ছবি নিয়ে বের হন। তার জীবনে অভিষেক সব সময় একটি শক্তি হিসেবেই রয়েছেন। তার কণ্ঠস্বর শুনে তিনি অনেকটা হতবাক হয়েছেন। খবর আনন্দবাজার