বিভিন্ন কারণে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বেশি প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। নির্বাচন থেকে বাদ পড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আজ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে, বেশিরভাগ প্রার্থীই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এবং এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করার কথা জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, এক শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করেছি। আমি মনোনয়ন ফরমের সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। নির্বাচন অফিস থেকে ১০ জন ভোটারের তদন্ত করতে যায়। গোপালপুরের নয়জন ভোটারের সবকিছু ঠিক পায়। ভুয়াপুরে একটি ভোটারের বাড়িতে যখন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সহকারে স্থানীয় চেয়ারম্যান যায়, তখন ওই ভোটার ভয় পান।
আমার প্রতিপক্ষের লোকজনের কাছে ওই ভোটার জিম্মি আছে। আগে স্বীকৃতি দিলেও এখন সে অস্বীকার করছে। এই কারণে টাঙ্গাইল রিটার্নিং অফিসার আমার মনোনয়ন বাতিল করেছে। ওরা আমার এক ভোট ছিনতাই করে নিয়েছে। আশা করি আমি প্রার্থীতা ফেরত পাব।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা: তাহমিনা আক্তার মোল্লাও স্থানীয় এমপির প্রভাবের কারণে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস স্বাক্ষরিত তালিকা গ্রহণ করেনি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, এমপির জনপ্রিয়তা তলানিতে। ফলে আমার ভোটার স্বাক্ষর তালিকার ২ পৃষ্ঠার মধ্যে ১ পৃষ্ঠা নির্বাচন অফিস গ্রহণ করেনি।
খুলনা-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মেজর ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ১২ তারিখ সকালে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি। এরপর ওই দিন বিকেল ৩টায় মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন অফিস বলছে আমার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। সিলি ম্যাটার, আশা করি আমি শীঘ্রই প্রার্থিতা ফিরে পাব।
খুলনা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ২৬ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিলের কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমি বকেয়া দেখায় এমন মিটার ব্যবহার করি না। ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বাতিল করা হয়েছে।