‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠ্যাং পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে’—এমন বক্তব্য দেন বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারেক। এমন বক্তব্য দেওয়ায় তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে ডেকে সতর্ক করেছেন।
শনিবার বিকেলে বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। সভায় বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য ও হুঁশিয়ারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার জন্য আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেখানে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সে জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্তকে মোতায়েন করা হয়। সভায় কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল বারেক মাঝি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আওয়ামী লীগ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তিনি তার ভুল স্বীকার করেছেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবিউল কবির জমাদ্দাও তার পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করায় আমরা তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মাঝি বলেন, ‘বক্তৃতায় আমি বলেছিলাম, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত এবং একপর্যায়ে আমি বলেছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মারধর করে ভেঙে ফেলা হবে। . আমি এই বক্তব্যটি সঠিকভাবে দেইনি। বক্তৃতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য আমাকে ফোন করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। পরে তিনি আমাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেন।
তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জমাদ্দার বলেন, কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বারেক মাঝিকে মঞ্চ থেকে ডেকেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্ত। বারেক মাঝি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আমিও প্রকাশের জন্য মুক্তি পেয়েছি। বারেক মাঝির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
রেজাবিউল কবির বলেন, “এটি আমাদের দলীয় সভা ছিল এবং এটি আমার বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভাটি প্রকাশ্য স্থানে বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করে হয়নি। কীভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে তা জানা যায়নি।