শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্ম”মভাবে মা”রধর, সাবেক এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্তসহ নানা নাটকীয়তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্লেষণ চলছে।
এরই মধ্যে এডিসি হারুনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। এমনকি যাকে নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত, সেই পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি সানজিদাও এখন হারুনের পক্ষ অবলম্বন করেছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এডিসি হারুনকে প্রথমে মা”রধর করেন রাষ্ট্রপতির এপিএস ও ছাত্রলীগ নেতারা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর রশিদ মনে করেন, সেই বারডেম হাসপাতালে কী ঘটেছিল, সেটি তদন্ত করে বের করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ।
তিনি বলেন, এর আগে বারডেম হাসপাতালে এপিএস মামুন ও ছাত্রলীগ নেতারা এডিসি হারুনকে মারধর করে। এপিএসের স্ত্রী পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিনও একই ধরনের তথ্য উল্লেখ করে এডিসি হারুনকে রক্ষা করেছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই নারী এডিসি সানজিদাকে ঘিরে যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, তাকে বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অবশেষে হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি কয়েক মাস ধরে গোপনে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল নজরদারি করছিলেন।
মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বামীর চেয়ে স্যার যখন বেশি আপন হয়, তখন বিষয়টা অস্বাভাবিক না? আপনার নিজের বড় বোনও ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার, যেহেতু উল্টাপাল্টা পোশাকের বিষয় আপনিই বলেছেন, ইসিজি ইটিটি তো আপনি ওনার ওখানেও করতে পারতেন।
এছাড়া পুলিশ হাসপাতাল দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল, সেখানেও যেতে পারতেন। এই এডিসি হারুনকে এক সপ্তাহ আগে আপনার স্বামী অনুরোধ করেছিলেন তার সংসার না ভাঙতে। কেন তাকে সাথে নিয়ে যেতে হলো? আর আপনার স্বামী কেন তাকে অনুরোধ করেছিলেন?’
প্রকৃতপক্ষে, সানজিদার স্বামী কিছু একটা অস্বাভাবিক আচারন দেখেছিলেন স্ত্রীর ব্যবহার বা কথাবার্তায়। তাই তিনি এডিসি হারুনকে তার সংসার না ভাঙার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এটা একদিন বা দু’দিন তার নজরে আসেনি।
শনিবার রাতে শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যা”তন করেন এডিসি হারুন-অর-রশিদ। আহ”তরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডিএইচএবি শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
রমনা থানার এডিসি হারুন-অর-রশিদ তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে মা”রধর করেন বলে ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনসহ ১০-১৫ জন পুলিশ তাদের মা”রধর করে।
নি”র্যাতনের ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে (পিটিসি) বদলি করা হতে পারে। আজ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।