বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর একটি তদন্তে জানা গেছে, তিনি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে, সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেকে সাফ জানিয়ে বলেছেন যে প্রতিবেদনটি ‘ভুল এবং বিভ্রান্তিকর’।
এছাড়া, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবরও জানিয়েছেন। জয় বলেন, “ক্রিস্টিন এবং আমি আর একসঙ্গে নেই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি।”
সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, প্রতিবেদনে থাকা তথ্যগুলোর বেশিরভাগই ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। তিনি আরও জানান, প্রতিবেদনে কিছু গুরুতর ভুল থাকায়, বিষয়টি ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। জয় অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালাচ্ছে।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার সাবেক আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা জয়, মালিকানাধীন আটটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, ম্যাসাচুসেটস এবং ভার্জিনিয়ায় তাদের সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমের তথ্যও পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, “ক্রিস্টিন এবং আমি বিবাহিত নই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি এবং আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।”
এফবিআই ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল, মার্কিন বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয় এবং গত ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে একটি অনুলিপি পায়।
এ বিষয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন যে, প্রতিবেদনটিতে যে এফবিআই এজেন্টের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বহু বছর আগে অবসর নিয়েছেন। যাকে ‘জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এর আইনজীবী’ বলা হয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার নামে যেসব গাড়ির তালিকা দেয়া হয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই তিনি ২০ বছর আগে কিনেছিলেন এবং প্রায় সবগুলো গাড়ি তিনি ইতোমধ্যে বিক্রি করেছেন।
তিনি আরও জানান, “আমরা কখনও কোনো সরকারি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করিনি এবং সেই থেকে কোনো অর্থও উপার্জন করিনি। হ্যাঁ, আমাদের কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তবে কোনো অফশোর অ্যাকাউন্ট আমাদের নেই। যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, তা আমরা কেউ কখনো দেখিনি।”