হঠাৎ বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়েন এক ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গেলেন কারন তিনি ছিলেন অনেকটা সাদাসিদা মানুষ এবং পেশায় একজন পুরোহিত। পুলিশ এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে আহত হওয়া ব্যক্তির নাম কমল কান্তি অধিকারী। তার বাড়ি চুঁচুড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে যে আহত হওয়া ব্যক্তির নাম কমল কান্তি অধিকারী স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
একজন ব্যক্তি তাকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান এবং গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর আহতের পরিবারের লোকজন কমলকান্তি অধিকারীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে শুভশ্রীর সঙ্গে কলমকান্তির বিয়ে হয়, বিয়ের পর তাদের সংসার ভালো চলছিল, প্রথমে সবকিছু ভালো ছিল, তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল না কিন্তু কয়েক মাস পর ছন্দপতন শুরু হয় সংসারে। পুরোহিতের পরিবার থেকে শুরু করে সকলের দাবি, স্ত্রী শুভশ্রীর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলে, স্ত্রীর বাড়ন্ত চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কমলকান্তি। এদিকে ঐ স্ত্রী কোথাও কোথাও জানিয়েছিলেন যে তার স্বামী তার দেহের শান্তি ও দিতে ব্যর্থ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চুচুড়ার বাসিন্দা পেশায় পুরোহিত তার স্ত্রী কমলকান্তির চাহিদা পূরণে বারবার ব্যর্থ হয়ে আসছিলেন। কারণ পুরোহিতের কাজ থেকে তিনি যে সামান্য আয় করতেন, তাতে স্ত্রীর চাহিদা মেটানো তার পক্ষে সম্ভব ছিল না এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিয়ত অশান্তি চলছিল বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। একের পর এক চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বাড়ে আশান্তি। স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক অশান্তির জেরে ১০ মাসের মধ্যে চারবার বাপের বাড়ি চলে চিয়েছেন শুভশ্রী।
বুধবার চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন কমলকান্তি ওই সময় শুভশ্রীর বাবার বাড়ির লোকজনের তাকে লাঞ্ছনা করেন। সেখানে ছিলেন কমলকান্তির স্ত্রী ও তার বাপের বাড়ির লোকজন। সবার সামনে লা”ঞ্ছিত হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। কমলাকান্তির পরিবার সদস্যরা দাবি করেছেন যে, সে এভাবে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে অপমান সইতে না পেরে সে বাড়ি ফিরে এসে দ্বিতীয় তলার ছাদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে পড়ে। এরপর আশেপাশের প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে এবং সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তবে ঠিক কি কারণে অমলকান্তি ধরনের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।