নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্বামীর সঙ্গে একান্ত মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন স্ত্রী (৩৫)।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাতিয়া থানায় এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযুক্ত আবুল হাসেম (৪১) সোনাদিয়া ইউনিয়নের সোনাদিয়া গ্রামের মো. আব্দুল কুদুচের ছেলে।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে স্বামী আবুল হাসেম তাকে বিয়ে করেন। আবুল হাসেম দাম্পত্য জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোকে ধারণ করে ন। এভাবে বিভিন্ন সময়ে দৃশ্যগুলো ধারণ করেছে সে। স্বামী হওয়ায় অভিযোগকারী তাতে আপত্তি করত না। পরে স্ত্রীর কাছে টাকা দাবি করতে শুরু করে স্বামী আবুল হাসেম। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শারীরিক মিলনের ভিডিও ও স্থিরচিত্র ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সম্মানের ভয়ে বিভিন্ন তারিখে স্বামীকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন নির্যাতিতা। গত ১৯ জানুয়ারি আবারও ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাদের একান্ত সময়ের সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিওগুলো ভাইরাল করার ভয় দেখাচ্ছে। আমি আমার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। সামাজিকভাবে আমি নিরুপায় হয়ে আছি। কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। আমি এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। না হলে যেকোনো সময় আমি আত্মহত্যা করতে পারি।
ওই নারীর চাচাতো ভাই আব্দুল হাকিম বলেন, আমার বোন তার স্বামীকে তালাক দেয়নি। কোনো কাগজপত্রও পাইনি। নিরুপায় হয়ে আমার বোন আইনের আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাকে নজরদারিতে রাখছি। যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। দোষী আবুল কাশেমের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত স্বামী আবুল কাশেম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১৫ দিন আগে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। সে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে সব শাস্তিই মেনে নেব।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিসান আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্যাতিতা নারী কোনো নিরাপত্তা চাইলে আমরা সহায়তা করব।