নিজের স্ত্রীর কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে থানায় নিয়ে যাওয়ার মত ঘটনা অনেক বিরল। সম্প্রতি এমনি একটি কাণ্ড ঘটিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে নন্দকুমার এলাকার শেখ মনিরুল ইসলাম নামের এক যুবক। এই ঘটনার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় ঘটনাটি মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে অ/ / শালীন অবস্থায় ধরা পড়ে স্বামীর হাতে। এরপর স্ত্রীকে কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে যান স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানায়।
জানা যায়, শেখ মনিরুল ও সুতাহাটার অর্পিতা সামন্ত প্রেম করে বিয়ে করেন ৭ বছর আগে। অর্পিতারও আগে বিয়ে হয়েছিল, ওই বাড়িতে তার একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু কোনো কারণে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। তখন তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই মনিরুলের সঙ্গে দেখা হয়। পরে তাদের বিয়ে হয়।
সম্প্রতি শেখ মনিরুল অভিযোগ করেন, অর্পিতা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। মনিরুলের বাড়িতেও বেড়াতে আসেন কলেজছাত্রের বিচ্ছিন্ন প্রেমিক। কিন্তু অর্পিতা অভিযোগ অস্বীকার করলে স্ত্রীর ওপর নজর রাখতে শুরু করেন মনিরুল।
গত শনিবার (২৭ আগস্ট) বাবার বাড়িতে যান অর্পিতা। এরপর মনিরুল বারবার তাকে আসতে অনুরোধ করে। তবে মঙ্গলবার ফিরবেন বলে জানিয়েছেন অর্পিতা। এতে সন্দেহ হয় শেখ মনিরুলের। সে তার স্ত্রীর উপর নজর রাখতে শুরু করে। একপর্যায়ে সে অর্পিতাকে বিচ্ছিন্ন প্রেমিকের সাথে তার বাবার বাড়িতে খারাপ অবস্থায় ধরে ফেলে।
পরে অর্পিতাকে কোমরে দড়ি বেঁধে নন্দকুমার থানায় নিয়ে এসে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বিদেশি প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পরকীয়ার জেরে এই পর্যন্ত অনেক দাম্পত্য জীবন নষ্ট হয়েছে। এমন ঘটনার জেরে সুধু দাম্পত্য জীবন নষ্ট নয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে প্র/ ণাশের মত ঘটনাও। এমন ঘনটা থেকে মুক্তি পেতে ও সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে হলে নিজের সতর্ক ও এমন অসামাজিক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নন্দকুমার থানার এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার।