কী ঘটে যখন নতুন বিয়ের পর স্বামী জানতে পারে তার স্ত্রী অন্য এক যুবকের সাথে প্রেমে মজে রয়েছে। খবরটি ঐ স্বামীর জন্য কোনোভাবেই সুখকর নয়। কিন্তু সেই সময় ঐ স্বামীর করনীয় কী থাকে? এমন একটি ঘটনা ঘটেছে এক ব্যক্তির জীবনে। বিয়ে করার পরে বাঁশরে স্বামী জানতে পারলেন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর রয়েছে অন্য এক যুবকের সাথে প্রেম। প্রথমে তিনি ক্ষো’ভে ভেঙে পড়েন, কিন্তু এরপর তিনি নিজেকে সামলে তার বুদ্ধির মহানুভবতা দেখান। শেষ পর্যন্ত ঐ যুবকের সাথে তার বিবাহিত স্ত্রীর বিয়ে দেন। ঘটনাটি সিনেমার গল্প মনে হলেও, বাস্তবেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটেছে ভারতের মুরলিপুর নামক স্থানে। এটা জানা সবার যে, সিনেমায় তো বাস্তব জীবনেরই প্রতিফলন!
জানা গেছে, চলমান বছরের ২ মে কোমল শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয় পঙ্কজ শর্মার। বিয়ের আগে স্ত্রী কোমলের প্রেমের বিষয়ে কিছুই জানতেন না স্বামী পঙ্কজ।
তবে কদিন যেতেই কোমল তার স্বামীকে জানায় যে, সহপাঠী পিন্টু সিংয়ের সঙ্গে তার নবম শেণিতে পড়া অবস্থায় প্রেম হয়। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পরিণতিও দিতে চেয়েছিলেন তারা। এ জন্য একসঙ্গে সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ডিপ্লোমা করেছিলেন তারা। চাকরি পেয়েই বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই বাধ সাধে কোমলের পরিবার। জোর করে পঙ্কজ শর্মার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন মেয়ের।
স্স্ত্রীর এ কথা শুনে শুরুতে ভেঙে পড়েছিলেন পঙ্কজ। কোমলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। রা’গ করে স্ত্রীকে মামাবাড়িও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন কোমল ও পিন্টুকে এক করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এরপর পঙ্কজ তার স্ত্রীকে তার সেই প্রেমিকের কাছে যাওয়ার জন্য নিজেই সকল ধরনের সাহায্য করেন। পরে এই ঘটনার জেরে থা’/নায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডিও) করা হয়। তদন্ত শুরু হওয়ার পর কোমল জানান, সে তার স্বামীর সাথে নয়, তার প্রেমিকের সাথেই জীবন কাটাতে চান। তাকে যেহেতু আমি আমার প্রেমের বিষয়টি জানিয়েছি সেটা তার সাথে সংসার করার জন্য নয়। আর তার স্বামী পঙ্কজের এই বিষয়ে কোনো ধরনের আপত্তি করেননি।
খবর কলকাতা প্রতিদিনের।