অনেকদিন ধরেই স্বামীর কাছে কচ্ছপ আর টিয়া পাখির আবদার করে আসছিলেন স্ত্রী। আর এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর সম্প্রীতি স্ত্রীকে দুটি কচ্ছপ ও একটি টিয়া পাখি এনে দেন স্বামী। কিন্তু স্ত্রীর আবদার পূরণ করে তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলেও তার পেছনে যে ভয়াবহ দুর্ভাগ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে তা ঘুণাক্ষরে টের পাননি তিনি।
জানা গেছে, অতি উৎসাহে কচ্ছপ আর টিয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন স্ত্রী। এতে জেলের যেতে হয়েছে সেই হতভাগা স্বামীকে।
ঘটনাটি ভারতের শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায় ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তক বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ির বাসিন্দা বাপি দত্ত কিছুদিন আগে স্থানীয় একটি দোকান থেকে একটি টিয়া পাখি এবং দুটি কচ্ছপ কিনেছিলেন। আবদার পূরণে খুশি হন স্ত্রী আর স্ত্রীর আবদার রাখতে পেরে স্বামীও খুশি। কিন্তু স্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট দেখা দেয় বিপত্তি। দীর্ঘদিনের শখ পূরণের আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি মিতাদেবী। তিনি তার পোষা টিয়া ও কচ্ছপের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
মিতা দেবীর করা ফেসবুক পোস্ট নজর কেড়েছে বন দফতরের আধিকারিকদের। এরপর মিতাদেবী ও তার স্বামীর খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে ঠিকানা পেয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পাখি ও কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে দেশটির একটি সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে আরো জানা যায়, শুধু এই প্রাণী দুটিই উদ্ধার করা হয়নি, ঐ পাখি এবং কচ্ছপ যে বিক্রি করেছিল সেই ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করেছে বন অধিফতর।