ব্যভিচারের সন্দেহে এক নারীকে মারধরের পর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে উলঙ্গ করে গ্রামে হাটায়। শুধু তাই নয়, ঘটনার একটি ভিডিওও শেয়ার হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বৃহস্পতিবার ভারতের রাজস্থান রাজ্যের প্রতাপগড় জেলায় এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, নি/র্যাতনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে, অভিযুক্ত স্বামীকে তার ২১ বছর বয়সী স্ত্রীকে বাড়ির বাইরে কাপড় খুলতে দেখা যাচ্ছে। এ সময় ওই নারী সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
রাজস্থান পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি) উমেশ মিশ্র বলেন, ‘ভুক্তভোগী বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্য পুরুষের সঙ্গে বসবাস করছেন অভিযোগ করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে অপহরণ করে গ্রামে এনে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেন।’
তিনি জানান, প্রতাপগড় জেলার পুলিশ সুপার অমিত কুমার মিশ্র গ্রামে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছেন। এছাড়া আসামিদের গ্রেপ্তারে ছয়টি টিম গঠন করা হয়েছে।
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। ঘটনার দিন গভীর রাতে একটি টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “প্রতাপগড় জেলায় পারিবারিক বিবাদের জেরে এক মহিলাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ন/গ্ন করে ফেলার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এডিজি ক্রাইমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সভ্য সমাজে এ ধরনের অপরাধীদের কোনো স্থান নেই। এই অপরাধীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জেলে পাঠানো হবে এবং দ্রুত আইনের আদালতে বিচার ও শাস্তি হবে।”
বিজেপি সাংসদ গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “রাজস্থানে মহিলাদের প্রতি অমানবিকতা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।