বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় পার্টি আমাদের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই নির্বাচনে তাদের প্রধান নেতা জিএম সাহেব কত কথা বললেন- এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না, এরা গতবার রাত্রে বেলা নির্বাচন করেছেন কত কথা বললেন। তারপরে শুধুমাত্র নিজের স্ত্রীর (শরীফা কাদের) জন্য গোটা দলকে বিক্রি করে দিলেন এবং তার দলের লোকেরা প্রতি স্লোগান দিচ্ছে।
সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে জাতীয় মহিলা দলের এক অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
রহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ যুগ যুগ ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উর্বর ক্ষেত্র। এই পলিমাটি বর্ষাকালে নরম হয়ে চৈত্র মাসে শক্ত হয়ে যায়। ওই কাঠিন্যের প্রচণ্ড প্রভাবে অনেক স্বৈরাচার ভেসে গেছে বাংলার পদ্মা, মেঘলা, যমুনা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যায়।
শেখ হাসিনার সরকারও ভেসে যাবে আমাদের নদীর স্রোতধারায়, আমাদের পদ্মার স্রোত, মেঘনার স্রোতের তোড়ে।
মুঘল আমলে বাদশাহ আকবরের ছিলেন একজন বুদ্ধিজীবী, আবুল ফজল, তার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবুল ফজল বাংলা সম্পর্কে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ধুলায় বিদ্রোহের ধুলো উড়ে। শেখ হাসিনা মনে করেন, আপনি প্রভুদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতায় থাকবেন। সেই দিন এখন শেষ।
তিনি বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) দেখেছেন, আপনার বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছে, আপনার পাতানো প্রহসন জালিয়াতির নির্বাচনে মানুষ ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে, মানুষ ভোট বর্জন করে মানুষ যেভাবে বিজয়ের চিহ্ন দেখিয়েছে, এখান থেকে আপনার উপলব্ধি করা উচিত। আপনি পদ্মাসেতু দেখাবেন, আপনি ফ্লাইওভার দেখাবেন। আর গরীব মানুষ তার সন্তান বিক্রি করবে, গরীব মানুষ সন্তান বিক্রি করা আপনার এই উন্নয়নের মায়াজাল ছেদ করেই এবার জনগণ আন্দোলনে আছে, আন্দোলনে থাকবে এবং সকল কর্মসূচি পালন করবে।’
পুলিশি নিপীড়ন ও গ্রেপ্তারের মধ্যে রাজপথে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করায় মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সাধুবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করত, বিএনপিতে যোগ দিলে কেন? আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি কেন নয়? যুক্তি একটাই, উত্তর একটাই- সেটা হলো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার নায়ক জিয়াউর রহমান। এই দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
‘
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। মামলা-হামলা-জেলে যাওয়া, হয়রানি-নির্যাতন-রিমান্ড, ২০১৫ সালে একটানা ২৫ দিন রিমান্ডে ছিলাম, কোনো কিছুই মনে হয়নি। কারণ আমি মনে করি যে, আমি যে দলের সাথে আছি সেটা খুবই ন্যায়সঙ্গত রাজনৈতিক দল। আমাদের সামনে আদর্শ রয়েছে।