স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি তার স্ত্রীকে মৃদু নেশাগ্রস্ত রাখতে পানীয়তে কিছু ওষুধ মেশাতেন। রোহিপনোল বা ডেট-রেপ ড্রাগের সীমিত মাত্রার ব্যবহার সাধারণত অনেক পুরুষের ডেটিং চলাকালীন নারী সঙ্গীর ওপর সুকৌশলে ব্যবহার করে থাকেন। এভাবে পুরুষ সঙ্গী নেশাগ্রস্ত নারী বা তরুণীর সঙ্গে যৌ/ন মিলন করলেও বাধার সম্মুখীন হন না।।
জেমস ক্লেভারলি সম্প্রতি একটি হাউস পার্টিতে মা/দকের ব্যবহার নিয়ে রসিকতা করেছেন। তার দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের রহস্য ব্যাখ্যা করে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভার সিনিয়র মন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি সর্বদা তার স্ত্রীকে মৃ/দু নেশার মধ্যে রাখতেন, যাতে তিনি কখনই বুঝতে না পারেন যে তার (স্ত্রীর) পাশে আরও আকর্ষণীয় একজন পুরুষ রয়েছে।
খানিকটা খামখেয়ালিপনার ছলে ব্রিটিশ মন্ত্রী আরও বলেন, স্ত্রীর পানীয়তে কিছু ওষুধ মেশানো বেআইনি নয়।
যেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ডেট-রেপের’ ওষুধের ব্যবহার সীমিত করার সমর্থনে রসিকতা করেছিলেন, সেই দিনই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘোষণা দেয়, পানীয়তে কোনো মা/দক মিশিয়ে নারী ধ/র্ষণ কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।
এ সময় মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের খবর গণমাধ্যমে আসার পর শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। নারী অধিকার সংস্থা দ্য ফসেট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী জেমিমা ওলচোস্কি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (আগের টুইটার) এ স্বরাষ্ট্র সচিবের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। বিরোধী লেবার আইন প্রণেতা ইভেট কুপার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “স্পাইকিং (পানীয়তে মাদক মেশানো)একটি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে স/হিংসতা রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ ঘরে এমন জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত এটা মেনে নেওয়া যায় না। নারী নিরাপত্তায় তার সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা থাকার কথা। কিন্তু ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি উল্টো কাজ করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন।