স্ত্রী তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথেক সন্তান নিয়ে পালিয়ে গেছে এমন সন্দেহের জেরে থানার গেটের সামনে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন একজন যুবক। যুবকের নাম আনন্দ ভুঁইয়া। তবে থানার ওসি দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পৌঁছালে ছেলেটি প্রাণে বেচে যায়। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আনন্দ ভূঁইয়া উপজেলার পাঁচরুখী গ্রামের ইব্রাহিম ভূঁইয়ার ছেলে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা গেটের সামনের সড়কে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেছেন এক যুবক। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে উদ্ধার করেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে আড়াইহাজার উপজেলার বাগাদি গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে হালিমাকে (২২) বিয়ে করেন আনন্দ ভূঁইয়া। তাদের সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। এদিকে স্ত্রী আরেক যুবকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এদিকে শনিবার সকালে আনন্দ বাইরে থেকে বাড়িতে এসে দেখেন তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে নেই। পরে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল করলে তার প্রেমিক তা রিসিভ করে এবং তাকে আর ফোন করতে নিষেধ করে।
এ সময় একই দিন বিকেলে আড়াইহাজার থানার সামনের সড়কে অবস্থান নেন আনন্দ ভূঁইয়া। এ সময় নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, শনিবার বিকেলে এক যুবক থানার সামনের রাস্তায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। ব্যাপারটা দেখে আমি দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরলাম। যার কারণে তিনি আগুন দিতে পারেননি। তাকে সাবান দিয়ে গোসল করানোর পর আমরা তাকে আমাদের হেফাজতে নেই। তিনি আরও বলেন, আনন্দ ভূঁইয়াকে আগুন দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার সকালে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাকে মোবাইলে কল দিলে সে পাবে না। আনন্দ পরে রাগে ও দুঃখে রাস্তায় আগুন দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করে। এখন তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন থানায় আসছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, ভোরবেলা উঠে আনন্দ ভুঁইয়া দেখেন তার স্ত্রী এবং তার সন্তান কেউই ঘরে নেই। সে তার পরিবারকে ঘরে দেখতে না পেয়ে থানায় চলে যান। তিনি শুধুমাত্র যে থানায় গিয়ে শান্ত হয়েছেন তা কিন্তু নয়। আনন্দ ভুঁইয়া থানার সামনে গিয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলো। তবে থানার কর্তব্যরত ওসির বিচক্ষনতার কারনে যুবকটি তার কাজ বাস্তবায়নে সক্ষম হতে পারেনি। তার স্ত্রী পরকিয়া প্রেমিকের সাথে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে এমনটাই ভেবে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওসিকে।