জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরেই ইতালিতে কর্মরত ছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইতালি প্রবাসী রত্তন পাহলান। তবে পরিবার থেকে অনেক দূরে রইলেও সর্বদা পরিবারের সবার চাহিদা পূরণ করে আসছিলেন তিনি। আর এ জন্য বিদেশ থেকে স্ত্রীর ও শ্বশুরের নম্বরে বিভিন্ন সময়ে টাকা পাঠিয়েছেন তিনি। কিন্তু চলতি বছরের গত ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেই তিনি বুঝতে পারেন, তার পাঠানো এত কষ্টের টাকা সবই আত্মসাত করেছেন তারই স্ত্রী। আর এ অভিযোগ জানিয়ে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন রত্তন পাহলান। সেই আলোকে সিআইডিকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহপূর্বক অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার পৌর শহরের চিংগুড়িয়া এলাকার ইতালি প্রবাসী নাগরিক রত্তন পাহলান আদালতে নালিশি মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্প্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এ আদেশ প্রদান করেন।
মামলায় কলাপাড়া শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার বাসিন্দা ও আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়-১৭৩’র প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খানের সঙ্গে তার পিতা মো. আনোয়ার হোসেন খান এবং মাতা মোসা. জাহানারা খানকে আসামি করা হয়েছে। জানা যায়, স্ত্রীর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে ইতালি থেকে রেমিট্যান্সের মাধ্যমে নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্ত্রীর এবং শ্বশুরের নম্বরে আনুমানিক ১ (এক কোটি) টাকা বাদী প্রেরণ করেন। যা আসামিরা রেমিট্যান্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ত ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। চলতি বছরের ২২শে অক্টোবর ইতালি থেকে দেশে ফেরার পর প্রবাসী স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অমনোযোগী থাকার বিষয়টি বাদীর গোচরীভূত হয়।
দেশে ফিরে স্ত্রী সানজিদা খানের সঙ্গে মুঠো ফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন রত্তন পাহলান। কিন্তু ফোনটি রিসিভ না করায় তার সঙ্গে এখনও কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। এমনকি স্ত্রীর মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়ে্ও কোনো সাড়া পাননি তিনি। এ ঘটনায় বেশ অসস্তি প্রকাশ করেছেন রত্তন পাহলান।