Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Entertainment / স্টার সিনেপ্লেক্সে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বললেন, অপারেশন সুন্দরবন ‍সিনেমায় আমি সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিলাম

স্টার সিনেপ্লেক্সে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বললেন, অপারেশন সুন্দরবন ‍সিনেমায় আমি সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিলাম

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া অপারেশন সুন্দরবন নামক সিনেমায় দর্শকের তুমুল সাড়া পাওয়া গেছে।  মুক্তির প্রথম দিনেই  সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।  অন্যদিকে  বসুন্ধরা  স্টার  সিনেপ্লেক্স উপস্থিত ছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।  সিনেপ্লেক্স থেকে বের হওয়া মাত্রই সংবাদমাধ্যমগুলো ঘিরে ধরে তাকে।  একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে বেনজীর আহমেদকে।

এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অপারেশন সুন্দরবন’ দর্শকদের ভালোবাসা জিতেছে। মুক্তির প্রথম দিনে (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. বেনজীর আহমেদ।

‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবি দুটি নির্মাণের পেছনের গল্পের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। কারণ দুটি ছবিতেই তার সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।

অপারেশন সুন্দরবন’ ছবিটি দেখার পর এই পুলিশ কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়া, দুই ঘণ্টা ২১ মিনিট দর্শকদের মন জয় করে রাখাও ছবিটির সাফল্য। তার মতে, ছবির গল্প হারিয়ে যায়নি। উত্তেজনা ও সাসপেন্সে ভরপুর হওয়ায় ছবিটি দর্শকরা বেশ সাড়া ফেলেছিল। ভিএফএক্স, সাউন্ড কোয়ালিটি, শিল্পীদের পারফরম্যান্স, কলাকুশলীদের মুন্সিয়ানা, আমি মনে করি এই ছবিটি একটি ভিন্ন ও মানসম্পন্ন ছবির কাতারে স্থান পেয়েছে।

 তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের র‌্যাবের সৈন্য ও কর্মকর্তারাও দারুণ কাজ করেছে। অপারেশনের দৃশ্যগুলো বিভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপন করা হয়। ছবি না দেখলে বুঝতে পারবেন না আমাদের অফিসাররা কতটা স্মার্ট এবং কতটা পরিশ্রম করতে পারে। আমাদের বড় সাফল্য হল দর্শক ছবিটি গ্রহণ করেছে।

আইজিপিকে ঘিরে রেখেছে র‌্যাব ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’ টিম

‘ঢাকা অ্যাটাক’ হয়ে গেল ‘অপারেশন সুন্দরবন’ গল্পের কথা বলে ডাঃ বেনজীর আহমেদ বলেন, জলদস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত সুন্দরবনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে র‌্যাব অভিযান শুরু করে। দক্ষতা ও চৌকসতায় সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করা হয়। অফিসার ও সৈন্যদের অভিযান।এবং সেই সাফল্যের ফ্রেম জাতির সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে আমরা ‘অপারেশন সুন্দরবন’ করার পরিকল্পনা করেছি।তবে শুধুমাত্র একটি ছবিতে র‌্যাবের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব নয়। র‌্যাবের অনেক সাফল্যের মধ্যে চলচ্চিত্রটি একটি। ছবিটির পরিকল্পনা করার পর আমি দীপনকে বলেছিলাম, তুমি সুন্দরবনে যাও, সেখানে থাকো, ভাওয়ালী, মধু সংগ্রহকারী, জেলেসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের চিত্রনাট্য কর। তাই।স্বাধীনতার পর প্রায় চল্লিশ বছর সুন্দরবন ছিল জলদস্যুদের অভয়ারণ্য। র‌্যাব সুন্দরবনকে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করার পাশাপাশি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিবেশন করেছে।এর আগে দীপঙ্কর দীপনের সঙ্গে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ করার সময় আমি পুলিশ কমিশনার ছিলাম। ছিল ছবিটি মুক্তি পেলে র‌্যাবের ডিজি মো. আর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ বানানোর পরিকল্পনার সময় আমি ছিলাম র‌্যাবের ডিজি আর ছবি মুক্তির সময় পুলিশের আইজি!”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রাইসুল আজম, চলচ্চিত্র নির্মাতা অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেত্রী তানজিকা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এসএ হক অলিক ও রায়হান রাফি, অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হক প্রমুখ। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবির অভিনেতা ও কলাকুশলীরা।

দেশের ৩৫টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে দীপঙ্কর দীপনের ‘অপারেশন সুন্দরবন’। মুক্তির প্রথম দিনেই প্রায় প্রতিটি হলেই হাউসফুল হয়ে যায় ছবিটি। সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচক পর্যন্ত তা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড়।

র‌্যাব প্রযোজিত এই সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়াজ আহমেদ, সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া, জিয়াউল রোশন, দর্শনা বনিক, তাসকিন রহমান, রওনক হাসান, তুয়া চক্রবর্তী, মনোজ প্রামাণিক, সামিনা বাশার, রাইসুল ইসলাম আসাদ, আরমান পারভেজ মুরাদ, নরেশ ভূইয়া। . মানস ব্যানার্জী, মনির খান শিমুল প্রমুখ।

দেখা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় মুক্তির প্রথম দিনেই ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর বেশির ভাগ শো হাউসফুল হয়ে গেছে। বসুন্ধরা সিটিতে পাঁচটির মধ্যে চারটি শো ছিল হাউসফুল। অন্যান্য হলগুলোতেও ছবিটি দেখতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

সিনেপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একসাথে পাঁচটি বাংলাদেশি ছবি প্রদর্শন এবং বাংলা ছবিতে দর্শকদের আগ্রহ আগে দেখা যায়নি। দর্শক চাহিদার কারণে বিদেশি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী কমে যাওয়ায় দেশীয় চলচ্চিত্র প্রাধান্য পাচ্ছে। বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক।

সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেক্লাবের চেয়ারম্যান সামিনা বলেন, আমরা এখানে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমাটি চালাচ্ছি। শুক্রবার দিনের প্রথম শোটি হাউসফুল ছিল না। বিকেল ও রাত দুইটি শোই হাউসফুল ছিল।

রাজধানীর মধুমিতা হলের নেতা নওশাদ বলেন, “প্রথম দিন খুব ভালো যাচ্ছে। তবে সকালের শোতে প্রত্যাশিত দর্শক ছিল না। তবে বিকেলের শো ভালোভাবে উপস্থিত ছিল। ঘর ভর্তি ছিল। মনে হচ্ছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ভালো করবে।”

অন্য সিনেমাপ্রেমীরাও মনে করেন, ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর মতো আরও সিনেমা নিয়মিত হওয়া উচিত। এতে করে হলমুখী লোকজন আবার হলমুখী হবে।

র‌্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যানারে নির্মিত ছবিটি গত ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের ৩৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।

উল্লেখ্য, দুই মাসের মধ্যেই পরপর একাধিক সিনেমা তুমুল আকারের হিট হয়েছে।  তার মধ্যে সবথেকে বেশি প্রশংসনীয় সিনেমা হচ্ছে  চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত হাওয়া,  এবং সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া রিয়াজ অভিনীত অপারেশন সুন্দরবন।  এ দুটি সিনেমাতেই দর্শকের প্রতিক্রিয়া ছিল প্রশংসনীয়।

About Nasimul Islam

Check Also

গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি, জানা গেল কনের পরিচয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে যখন সারা দেশের মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তখন বেশ নিরব ছিলেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *