দিনে দিনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সমাজ বিশ্লেষকেরা। বিভিন্ন ধরনের পার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে স্কুল ফাঁকি দিয়ে কিশোর-কিশোরীদের ঘুরতে দেখা যায়, যেটা তাদেরকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের দিকে সাহসি করে তোলে। এ বিষয়ে প্রশাসন নজর রাখতে শুরু করেছে। এবার এই ধরনের বিষয়ে ৫ কিশোরকে আটক করা হয়েছে, কিন্তু তাদের কাছে যা পাওয়া গেল তা দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ম্যাজিস্ট্রেট।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরার নেতৃত্বে একটি দল স্কুল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি পার্কে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কিশোরকে আটক করেছে। এ সময় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের ব্যাগে পাঁচটি কন্ডো”ম পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাদের অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লা পাঁচবটির অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, বিকেলে অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কে ঘোরাফেরা করছিল ওই পাঁচ কিশোর। তাদের দেখে সন্দেহ হয় পার্ক কর্তৃপক্ষের। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ব্যাগ তল্লা’শি করে। তল্লা’শির সময় তাদের ব্যাগে স্কুলের পোশাক পাওয়া গেছে। সে সময় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রের ব্যাগে পাঁচটি কন্ডো”ম পাওয়া যায়। স্কুলের পোশাক পরার অনুমতি না থাকায় তারা টি-শার্ট পরে পার্কে প্রবেশ করে। এ ঘটনায় তাদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা বলেন, স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীরা পার্কে আসতে পারবে না। সন্দেহ হওয়ায় তাদের ব্যাগ তল্লা’শি করা হয়। একজন ছাত্রের ব্যাগে কন্ডো”ম খুঁজে পাওয়া একটি বিস্ময়ের ব্যাপার। স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের ডাকার পর তাদের কড়া তত্বাবধানে রাখার কথা বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি ওই কিশোরদের কড়া নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করে দেন। এদিকে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের প্রতি তাদের দিকে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, অভিভাবকেরা যদি তাদের সন্তানের দিকে খেয়াল না করে, তাহলে তারা যে কোনো সময় বিপথে চলে যেতে পারে। যেটা একসময় সন্তানকে খারাপ পথে পরিচালিত করতে পারে। তাই সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের নজর দেওয়ার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন।