লক্ষ্মীপুরে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার একদিন পরও (আজ) দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি ওই স্কুলছাত্রীকে। অপহরণের ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন মুঠোফোনে জানান, ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মনির হাওলাদার বাদী হয়ে গতকাল রাতে রামগতি থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। পুলিশ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারে কাজ করছে।
মামলার আসামিরা হলেন- মোঃ রাজু (২৪) তার ভাই মো. সাগর (২১) দুই সন্তানের পিতা আকবর মাঝি, মোঃ মাহফুজ (১৯) পিতা ইউসুফ, মোঃ রনি (১৯) পিতা সিরাজ মোল্লা, মোঃ শামীম (২০) ও তার ভাই শরীফ (২১) পিতা মোঃ সিরাজ। সবাই চরনেয়ামত গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত এলাকা থেকে রাজু ও সাগর ও তাদের ৪ সহযোগী স্কুলছাত্রীকে ধরে নিয়ে যায়।
স্কুল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় জনতা মডেল একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। পথে একই এলাকার আকবর মাঝির ছেলে মো. সাগরসহ তার ৪ সহযোগী ওই স্কুলছাত্রীকে বাধা দেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় তারা। ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাদের পাওয়া যায়নি। পরে ওই রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে অপহরণ মামলা করেন।
মামলার বাদী ও স্কুলছাত্রীর বাবা মনির হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, দিন পার হয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের সন্ধান পায়নি। মামলা দায়েরের পরও এখন পর্যন্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আমি শীঘ্রই আমার মেয়েকে খুঁজে পেতে চাই। জড়িত সকল অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করছি।
চরনেয়ামত জনতা মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের জানান, স্কুলে যাওয়ার পথে তার স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন। এছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়া ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তারা।