নীলফামারীর ডোমারের আনোয়ারা বেগম নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বুদ্ধিমত্তায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ‘তিতুমীর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের শতাধিক যাত্রী।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা হাজীপাড়া গ্রামের রউফ সাহেবের ঘুঁটি এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখে সেখানে লাল চাদর বিছিয়ে সংকেত দিয়ে ওই ট্রেনযাত্রীদের প্রাণরক্ষা করে মেয়েটি।
স্কুলছাত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ির পাশে রেললাইন ধরে হাঁটছিলাম। একই সঙ্গে রেললাইনে ফাটল দেখতে পাই। আমি প্রথমে আমার দাদীকে বললাম। এরপর রেললাইনে ফাটল রয়েছে বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। ওই সময় চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী ‘তিতুমীর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি আসলে লাল চাদর দেখালে তারা ট্রেনটিকে থামিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে আনসার ভিডিপি পিসি মো. মশিয়ার রহমান বলেন, রেললাইনে ফাটল দেখে আমরা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। রেলওয়ের প্রকৌশলী সিএস সবুজ জানান, শীতকালে লাইন কম্প্রেশনের কারণে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়।
ডোমার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বাবু হোসেন বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর শুনে আমরা জিপিএইচ ইস্পাত ও গণপূর্ত বিভাগকে (পিডব্লিউডি) জানিয়েছি। পরে তাদের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারপর ‘তিতুমির ট্রেন’-এর লোকো মাস্টারকে ট্রেনটিকে প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে সরানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর ট্রেনটি কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই নিরাপদে গন্তব্যে চলে যায়।
সৈয়দপুর রেলওয়ের সিনিয়র উপ-সহকারী মো. সুলতান মৃধা জানান, শীতের কারণে রেললাইনের ঢালাইয়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিচ্ছে। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে এগুলো ঠিক করি। এই ফাটলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা না থাকলেও ওই জায়গা দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করছে।