৪ বছর ধরে চলা ফাতেমা নামের ২১ বছর বয়সী এক প্রবাসী তরুনীর প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে তার পরিবার অন্য একজনের সাথে বিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এসে তিনি তার পছন্দের ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তিনি নিজে তার বিয়ের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন এবং তিনি ছেলেটির কোনো দোষ নেই বলে জানান। তিনি তাকে অপহরণও করেননি। তিনি তার সাথে চলে গিয়ে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী নগরের আসাম কলোনি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন নবদম্পতি।
ফাতেমার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর বউবাজার এলাকায়। তার স্বামী ফজলে রাব্বির (২৬) বাড়ি রামচন্দ্রপুর বউবাজার এলাকায়। রাব্বি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাব্বি ফাতেমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিয়ে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বলেন, আমি নিজের ইচ্ছায় বাড়ি হতে বেরিয়ে এসে আমার প্রিয় মানুষ রাব্বিকে বিয়ে করেছি। আমাকে কেউ জোর করে আনেনি।
ফাতেমা আরও বলেন, আমি বাড়ি থেকে স্বেচ্ছায় এলেও এখন শুনছি আমার পরিবার থানায় অপহ”রণের মামলা করছে। আমি ঘোষণা করছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলে রাব্বি বলেন, চার বছর ধরে সম্পর্ক থাকলেও ফাতেমার বাবা-মা এই সম্পর্ক মেনে নিতে চাননি। মিথ্যা মা”মলা দিয়ে হয়”/রানি করেছে। প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে না পেরে ২০১৯ সালের দিকে সৌদি আরবে নিয়ে এক প্রবাসীর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেন ফাতেমাকে। সেখানে সংসার করতে পারেননি ফাতেমা। ডি”ভোর্সের দেড় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফেরেন তিনি। ফেরার পরও বাড়িতে তাকে শারীরিকভাবে লা”ঞ্ছিত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাতে ফাতেমার পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। তারা তাকে অপহ”রণের অভিযোগ এনেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা যদি কেউ দিতে আসে তাহলে নিতে হবে। যেহেতু মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক তাই তিনি তার নিজের ইচ্ছা মাফিক যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন। তবে যা করা হবে সেটা অবশ্যই আইনগতভাবে করা হবে। তাছাড়া মেয়েটি জানিয়েছেন যে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি, বলে জানিয়েছে। তবে তার পরিবার মামলা দিতে এলে অবশ্যই সেটা নেওয়া হবে।