প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যান। হজ পালন ইচ্ছুক ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সৌদি আরবে হজ পালনে যাতে কোন ধরনের সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এবার হজ পালন ইচ্ছুকদের বয়স নিয়ে সুসংবাদ দিল সরকার।
আগের কোটা অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সৌদি আরবে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা এখন হজ করতে পারবেন।
আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন জানান, সকাল ১০টায় সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ড. ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী মো. তৌফিক আল-রাবিয়াহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
উপসচিব জানান, চুক্তি অনুযায়ী সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ১৫ হাজার এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। হজ টিমের (প্রশাসনিক ও মেডিকেল) সদস্য হিসেবে ১ হাজার ২৭০ জন সৌদি আরব যেতে পারবেন।
তিনি বলেন, রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হবে। হজযাত্রীদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের টিকা নিতে হবে। ৭০ শতাংশ হজযাত্রী জেদ্দা দিয়ে এবং ৩০ শতাংশ মদিনা হয়ে আসা-যাওয়া করবেন। ই-হজ ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
গত ৭ জানুয়ারি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে অংশ নিতে সৌদি আরব যান। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।
অতীতে হজ পালন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা নানা ধরনের সংকটে পড়তেন। এমনও অবস্থার সৃষ্টি হতো যে, হজ পালনের জন্য অনেলে টাকা জমা দিয়েও হজ পালন করতে পারতেন না। তবে এসকল সমস্যার সমাধান নিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সরকার সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যার কারণে বাংলাদেশের হজ যাত্রীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন।