Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সৌদিতে নিশ্বাস ত্যাগ করে যুবক, কি এমন হয়েছিল যার জন্য বিচার চেয়ে কাঁদছেন বাবা, জানা গেল তার মুখে

সৌদিতে নিশ্বাস ত্যাগ করে যুবক, কি এমন হয়েছিল যার জন্য বিচার চেয়ে কাঁদছেন বাবা, জানা গেল তার মুখে

কাজের সন্ধানে অনে যুবক-যবতীরা দেশের বাহিরে জানা। অনেকে তাদের আর্থ স্বচলতাও ফিরিয়ে আনতে স্বক্ষম হয়েছেনে দেশের বাহিরে প্রবাসে ঘীয়ে। তবে অনেকেরিই তা সম্ভব হয়নি। কেউ কেউতো বিদেশের মাটিতেই শেষ নিশ্বাশ ত্যাগ করেছেন। সম্প্রতি এমনি এক প্রবাসি ভাইয়ের কথা যোগাযোগ ও গন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ সূত্রে জানা যায়, নজিবুল্লাহ (২২) পরিবারের সচ্ছলতা আনতে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে যান। কিন্তু আড়াই মাস শেষে মৃত্যুই তার ভাগ্যে। নজিবুল্লাহকে বিদেশে পাঠানোর জন্য টাকা দিয়েও রক্ষা হয়নি। সন্তান ও সম্পত্তি হারিয়ে নজিবুল্লাহর বাবা এখন নিঃস্ব।

এ ঘটনায় নজিবুল্লাহর বাবা কেরামত শেখ ১২ জুন নড়াইল সদর আমলী আদালতে এক নারীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক তা জবানবন্দি আকারে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।

অভিযোগে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার মীরাপাড়া গ্রামের জলিল মিনার ছেলে শাহাবুদ্দিন মিনা কেরামত শেখের স্ত্রীর খালাতো বোন হওয়ায় ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে ছেলে নজিবুল্লাহকে সৌদি আরবে পাঠানোর মৌখিক চুক্তি করেন বাবা। শাহাবুদ্দিন মিনারের শ্যালক নড়াইল সদর উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের সাইফুল আবদার সৌদি আরবে কর্মরত।

ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় সাইফুল আবদারের স্ত্রী রাবিয়া বেগম ও শ্যালক (রাবিয়ার চাচাতো ভাই) আমিনুর মিনারকে তিন লাখ টাকা দেন কেরামত শেখ। ১ মার্চ রাবিয়া ও আমিনুরকে আরও ৩ লাখ টাকা দেন কেরামত শেখ। মোট ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করে ১৬ মার্চ সৌদি আরবে পৌঁছান নজিবুল্লাহ।

পরে শাহাবুদ্দিন মিনা আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। কেরামত শেখও গরু বিক্রি ও ধার বাবদ দেড় লাখ টাকা দেন। কিন্তু 4 জুন, কেরামত শেখ সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্য একজনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে তার ছেলে নাজিবুল্লাহকে আটক করে মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে এবং তার ছেলের লাশ সৌদি আরবে একটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।

নজিবুল্লাহর বাবা কেরামত শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে ছেলেকে সব সম্পত্তি বিক্রি করে সৌদি আরবে পাঠিয়েছি, সুখে শান্তিতে বাঁচবে বলে। কিন্তু শাহাবুদ্দিন মিনা ও তার বোন রাবিয়ার শ্যালক সাইফুল আবদারের খপ্পরে পড়ে শেষ হয়ে যাই। আমি বিচার চাই। শাহাবুদ্দিন মিনা ও রাবিয়াকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, নজিবুল্লাহকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করেছি এবং সে সৌদি আরব পৌঁছেছে। এরপর কী হয়েছিল আমরা জানি না।

সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সজিব মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমরা ভিন্নভাবে জানতে পেরেছি। তবে কেরামত শেখ আমাদের কাছে বা পরিষদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত কবির বলেন, থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি, আদালতে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি আমাদের কাছে এলে আমরা খতিয়ে দেখব। এঘটনা তার ছেলের নিথর দেহ বাংলাদেশে আসবে কি না সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সরকাররের সহয়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অসি শওকত।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *