সম্প্রতি সালমান শাহকে কেন্দ্র করে শাবনূরের সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেন প্রয়াত নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। যদিও বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন দাবি করেছেন শাবনূর। কিন্তু প্রশ্ন হলো তার সম্পর্কে নির্মাতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বেঁচে থাকা অবস্থায় কেন প্রতিবাদ করল না। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
শাবনূরের শিক্ষিত ভক্তদের আলাদা করে একপাশে সরিয়ে রেখে অশিক্ষিত গন্ডমূর্খ ভক্তদের উদ্দেশ্যে একটা প্রশ্ন করি–চিত্রপরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুর পর শাবনূর কেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন?সোহানের মৃত্যুর পর তার বিরুদ্ধে শাবনূরের বক্তব্য কি প্রমাণ করেনা তিনি সুযোগসন্ধানী? সাহস থাকলে সোহানের জীবদ্দশায় তাকে চ্যালেঞ্জ করেননি কেন? সালমান শাহ’র সাথে ডাবিংয়ে অংশ নিতে গিয়ে সামিরার সামনে সালমানের গায়ের উপর ঢলাঢলি করার সম্পর্ককে ভাইবোনের সম্পর্ক বলা যায় কি?? শাবনূর মিডিয়ায় সবসময় মিথ্যা বলে এসেছেন তাদের মধ্যে নাকি ভাইবোনের মত সম্পর্ক ছিল!!! বোন কিভাবে ভাইয়ের কানে কামড় দেয়?? তাও আবার শাবনূরের মত বোন? সবই বলে গেছেন সোহানুর রহমান সোহান। আসলে যেসব চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শাবনূরের নেতিবাচক চরিত্র নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, শাবনূর কখনো টুঁশব্দ করেননি। কেন করেননি? তার মনে ভয় ছিল। অপরাধীর মনে সবসময় ভয় থাকে। তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত কথাগুলো সবই সত্যি। মিথ্যের মধ্যে বাস করে কিভাবে সত্যকে ফেস করবেন শাবনূর? যদিও তিনি সত্যিই ভীষণ প্রতিভাময়ী। এমন বিরল প্রতিভা আছে বলেই তো তার ভক্তদের চোখে কালোপট্টি বেঁধে দিয়েছেন। তার জীবনের অন্ধকার দিকগুলো জানতে দিচ্ছেন না ভক্তদের। তবে কালোপট্টি বেঁধে রাখা এইসব অশিক্ষিত মূর্খ ভক্তগোষ্ঠীদের সংখ্যা বেশি। তার শিক্ষিত ভক্তদের সংখ্যা কম। কম কেন বললাম? কারণ শিক্ষিত ভক্তরা জানে শাবনূরের আসল চরিত্র। তারা শুধু অভিনেত্রী শাবনূরকে পছন্দ করে, কিন্তু ব্যক্তি শাবনূরকে নয়। তার আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে সোহান তাকে নিয়ে তিনবছর কোনো কাজ করেননি। তখন শাবনূরের টনক নড়ে। একদিন সোহানের পা জড়িয়ে ধরে মাফ চেয়ে মিনতি করতে লাগলেন, সোহান যেন তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। সোহান যা যা বলে গিয়েছেন তার সবই অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। তাছাড়া সোহান গুণী নির্মাতা ছিলেন। তিনি জাবর কেটে যাননি। যদিও শাবনূরের অশিক্ষিত ভক্তরা জাবর কেটে চলেছে।