অনেক যুবক-যুবতী রয়েছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেম ভালোবাসার মতো সম্পর্ক গড়ে তোলে। অনেকে সাফলতা পেলে অনেকে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা মুখে পড়ে। তবে এবার কোন প্রতারণার গল্প নয়, এমন একটি ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যেখানে মিঠুন নামের এক যুবক তার ভাগ্য পরিবর্তন করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আমেরিকান তরুণীর সাথে প্রেম করে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আট বছর আগে আমেরিকান এলিজাবেথ এসলিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু করেন মিঠুন বিশ্বাস। তিন বছর পর তিনি এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। পরের বছর মিঠুনও স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। গত মাসে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব অর্থাৎ গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।
অনলাইন বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিঠুন বিশ্বাস ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের বাসিন্দা।
জানা যায়, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি ফেসবুকে মিঠুনের সঙ্গে এলিজাবেথের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের ভিত্তিতে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আড়াই বছরের প্রেমের পর, এলিজাবেথ ২ জানুয়ারী, ২০১৭ এ বাংলাদেশে আসেন। তারা ৪ জানুয়ারী বাগদান করেন এবং 9 জানুয়ারী খুলনার শলক এজি চার্চে বিয়ে করেন।
বিয়ের কয়েকদিন পর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন এলিজাবেথ। তিনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৮-এ বাংলাদেশে ফিরে আসেন। কয়েক দিনের চাকরির পর, এলিজাবেথ তার দেশে চলে যান। তিন মাস পর বাংলাদেশে ফিরে আসেন এলিজাবেথ। তবে এবার আর একা নন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সময় মিঠুনকে সঙ্গে নেন তিনি।
বর্তমানে মিঠুন যুক্তরাষ্ট্রের জেনেটেক আইটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। অন্যদিকে, এলিজাবেথ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফোর্ড গাড়ির ডিলারশিপে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে মিঠুন বিশ্বাস বলেন, পাঁচ বছর বসবাসের পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমাদের পরিবারে এখনো নতুন কোনো অতিথি আসেনি। আগামী বছর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এখানে খুব ভালো আছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুজনেই ভার্জিনিয়া রাজ্যে বসবাস করছেন। আপাতত দেশে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
তাদের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ দিতে 12 বছর নয় প্রায় আট বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন প্রেমের গল্প আগে প্রকাশিত হয়নি। এর আগেও অনেক তরুণ-তরুণী প্রেমের টানে ভিনদেশ থেকে ছুটে চলে এসেছে এমন ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে এবারের এই ঘটনায় মিঠুন তার প্রেমকে সম্পর্কে রূপ দিতে সয়ং আমেরিকায় ছুটে যান।