আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের প্রকাশ উৎসব, বঙ্গবন্ধু স্কলার বৃত্তি প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজের চূড়ান্ত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিক হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
বক্তব্য প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। সেই সোনার মানুষ এখন তৈরি হচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীতে আর কোনো নেতা আছে কি না যার নামে এত গান, এত কবিতা, এত রচনা হয়েছে। এসব রচনা লোকসাহিত্য থেকে শুরু করে বিজ্ঞান—সর্বক্ষেত্রে বিস্তৃত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদানটাকে মানুষ এত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে, আমি মনে করি, শুধু গ্রহণ করলেই হবে না, আমাদের নতুন প্রজন্ম সেই আদর্শে আদর্শবান হয়ে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
এসময়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা উদযাপন করছি। সামনের দিনে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অন্তত আমি এটুকু দাবি করতে পারি, ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯-এ সরকার গঠন করে এই ২০২২—এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে বিরাট পরিবর্তন আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। একদিকে যেমন দারিদ্র্যের হার আমরা কমাতে পেরেছি, স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পেরেছি, পুষ্টি নিরাপত্তা দিতে পেরেছি, সেই সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছিলাম, সেখানেও আমরা যথেষ্ট সফল হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ মানুষ যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বটা মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বিশ্বকে জানার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন আর অন্ধকারে পড়ে থাকছে না। বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়েরা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করতে পারছে, তাদের জ্ঞানের আলো উদ্ভাসিত হচ্ছে।’
বক্তৃতার এক পর্যায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক স্হানে নিয়ে যাওয়ার পূর্বলক্ষ্যের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন পরবর্তী লক্ষ্য ঠিক করা হবে ২০৪১ সালকে কেন্দ্র করে। এসময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে ধাপে ধাপে উন্নত দেশ হিসেবে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেসময়ে হাল ধরতে উৎসাহিত করেন৷