জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের আলোচিত একজন ব্যক্তিত্বের নাম। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাংলাদেশের ভালো মন্দের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন ওৎপ্রোতভাবে। তবে একটা সময়ে উপভোগ করেছেন অনেক বিলাসী জীবন। কিন্তু বিদেশের সেই শান্তি ছেড়ে দিয়ে ফিরে আসেন দেশে। আর এই কথাই সম্প্রতি বলছিলেন নিজের মুখেই।
বিদেশে রেসিং কার চালালেও স্বদেশের টানে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। শনিবার (৩০ জুলাই) সাভার (গবি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশে রেসিং কার চালাতাম, কিন্তু দেশে ফেরার পর দেশের মানুষের কথা ভেবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি চাই আপনারা দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যান।
এ সময় তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রাবাসের কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে ছাত্র পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হোসেন(ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী, অর্থাৎ ২৫ বছর। আমরা এটিকে বড় করে উদযাপন করব। এতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অন্তর্ভুক্ত হবে
অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। একই সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানকে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুইমিং পুল করার ঘোষণা দেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড সদস্য ফরিদা আখতার, রেজিস্ট্রার, কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, আইকিউএসি-এর পরিচালক ও সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. লায়লা পারভীন বানু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিইও ড. মনজুর কাদির আহমেদ, অনুষদের একাধিক ডিন উপস্থিত ছিলেন। , বিভাগ প্রধান এবং সাধারণ ছাত্র.
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় এক আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। দুপুরের পর একাডেমিক ভবন মিলনদয়নে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যাইহোক, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ১৪ জুলাই। তবে ঈদুল আজহার ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস সর্বশেষ পালিত হয়েছিল ৬ বছর আগে ২০১৬ সালে।
প্রসঙ্গত, রাজনীতির মাঠে আগের মত সক্রিয় না থাকলেও দেশের অনেক সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকেন তিনি। আর রাজনৈতিক দল গুলোকে দিয়ে থাকেন নানাবিধ পরামর্শও। এ ছাড়াও দেশের স্বাস্থ্য খাতে তার অবদান অনস্বীকার্য।