দীর্ঘদিন প্রেমের পর ভালোবাসার মানুষের সাথেই সুখী হতে চেয়েছিলেন সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য। আর তাই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়া সত্বেও ভালোবাসার মানুষের হাতেই তুলে দেয়া হয় সুরাইয়াকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত সুখ কি, তা জানার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে হলো তাকে। এ ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে পুলিশ।
এদিকে অকালেই মেয়েকে হারিয়ে গণমাধ্যমকে সুরাইয়ার মা বলেন, আমাদের বিচ্ছেদের পর নানি এবং দাদির কাছে বড় হয় সুরাইয়া। সে ভেবেছিল, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধলে জীবনটা সুখের হবে। কিন্তু মাস দুয়েক পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। যৌতুকের জন্য স্বামী, শাশুড়ি নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে। ১৬ মাসের সংসারে দফায় দফায় সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মীমাংসা হয়নি, আমার মেয়ে জীবন দিয়ে এ নির্যাতনের মীমাংসা করে দিল। সন্তান পেটে নিয়ে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেয় আমার মেয়েটি।
কবর
লাবণ্যর বাবা বলেন, দেখে মনে হচ্ছিল, লাবণ্যর বাচ্চাটাও খুব কষ্ট পেয়েছে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিল সে। এরপর আর কথা বলেনি আমার মেয়ে। সুরাইয়াই চায়নি তার স্বামীকে যৌতুক দেক তার বাবা।
লাবণ্যর মামা জাহাঙ্গীর মাহমুদ বলেন, ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বামী শাহীন আলমের সঙ্গে সুরাইয়ার কথা হয়। এরপরই গায়ে আগুন দেয় সে। এ ঘটনার বিষয়ে শ্বশুরবাড়িতে সংবাদ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা কেউ কোনো খোঁজও নেয়নি।
এদিকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোণার কলমাকান্দা থানার ওসি আবদুল আহাদ সংবাদ গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এ মামলার আলোকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।