Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / National / সে পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে,আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

সে পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে,আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

অনউন্নত বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর যার অঙ্গীকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি দেশকে ডিজিটাল গড়ে তুলবেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশকে প্রথমে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর। ২০৪১ এর মধ্যে দেশকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তোলার বদ্ধপরিকর তিনি। যে ব্যাপারে কথা বললেন এবার তিনি একটি অনুষ্ঠানে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজ্ঞান নিয়ে ‘২০৪১-এর সৈনিকরা’ প্রস্তুত। তিনি জানান, তার সরকার ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে। রোববার দুপুরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১’ উদ্যাপন এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি বলতে পারি আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই। প্রযুক্তি শিক্ষায় ও জ্ঞানভিত্তিক যে সমাজ আমরা গড়তে চাই-আমাদের দেশটা সে পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ রূপকল্প ২০২১-এর যে চিন্তা-চেতনাগুলো ছিল, লক্ষ্যগুলো ছিল, সেসব লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর সেই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের যারা নতুন প্রজন্ম, তাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করছে। অ্যাপ বানিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা পুরস্কার পাওয়ায় অনুষ্ঠানে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সেই সেবাটা পাবে, পাচ্ছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। তিনি জানান, আজকের শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশে তার সরকার যে সুযোগ করে দিয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে তা সম্ভব ছিল না। তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যে মেধা রয়েছে, সেটাকে বের করে নিয়ে আসা এবং সেটাকে দেশের কাজে লাগানোই আমার সরকারের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে সরকার সত্যিই অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।

আইসিটি খাতে অবদান রাখায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’ দেওয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলাদাভাবে তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মোট ২০টি পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসাবে ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ এবং নগদ অর্থের চেক বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরও অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব এনএম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্তমান ছেলেমেয়েরাও বাইরের দেশের মতই ছোটবেলা থেকে গড়ে তুলছে নিজেদেরকে। যা এগিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আরো একধাপ। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী এবার লক্ষ পূরণ হবে। তিনি মনে করেন দেশের সৈনিকেরা প্রসতুত ডিজিটাল বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসাবে জায়গা করে নিবে এইবার বিশ্বের বুকে।

About

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *