সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের একজন নামকরা ক্রিকেটার নারীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি নারীদের ঘরে থেকে স্বামী ও সন্তানদের দিকে নজর দিয়ে আখেরাত অর্জনের জন্য বলেছেন। আর এই বিষয়টি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলাপাড় সৃষ্টি করেছে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক সুলতান মির্জা। তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবি একজন জংগীকে জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ দিয়েছে সেই জংগীটা বিসিবির অধিনস্থ হয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে অন্য আর ৮-১০ টা জংগীর মতোই স্বাভাবিক ভাবে ধর্মীয় ব্র্যান্ডিং এ ফেসবুকে নারী বিদ্বেষী কথা বলতো, জাতীয় পতাকাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল্য করতো, নানান হারাম হালালের ফতোয়া দিতো।
দ্বিতীয়তো জংগীটা জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পরে আলেয়ার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠলে তার পুরাতন কর্মকান্ড গুলো নিয়ে পোষ্ট মর্টেম শুরু হয়। তারপরেও জংগীটা ড্যাম কেয়ার হয়ে তার জংগীগিরির পক্ষেই সাফাই দিচ্ছিলো। অত:পর পরিস্থিতি জটিল হলে বিসিবি জংগীটাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে জংগীটা ভুল স্বীকার করে বিসিবির কাছে ক্ষমা চায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, এইখানে জংগীটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে কখন ভিকটিম বানিয়েছে যে, ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ক্ষমা চাইলে জংগীর জংগীগিরির পাপ মুছে যাবে? যেখানে জংগীটা জাতীয় স্বার্থ এবং আমাদের নারীদের নিয়ে বিরুপ মনোভাব লালন করে, বিসিবি কোন ক্ষেতের মুলি জংগীকে মাফ করে দেওয়ার জন্য?
হা জংগীটাকে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং বিসিবি কে বলতে হবে এই ধরনের জংগীদের কে তারা জাতীয় দলে সুযোগ দিবে না।
অন্যথায় খেলা আরো বাকী আছে, আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল সাথে যাবে জংগীটাও, আর এই খবর প্রমান সহ নিউজিল্যান্ড ফরেন এফেয়ার্স অফিসে জানানোর জন্য শত শত ওয়ে উন্মুক্ত আছে, যা পরিস্থিতি এমন করে দিতে পারে যে, বাংলাদেশ দলের সকলের ভিসা হলো জংগীকে ভিসা দেয়নি নিউজিল্যান্ড, তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ইজ্জত বাড়বে নাকি কমবে সেই চিন্তাও যেব বিসিবি করে দেখে। আশা করি ব্রেইন খুলবে।