সাকিব খান সম্প্রতি তার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। যা বর্তমানে অনলাইনে। তার স্ট্যাটাসে আবেগ ঘন ভাবে স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার এই স্বপ্ন আর কোনদিন পূরণ হবে না বলেও জানান এই চিত্র নায়ক সাকিব খান।
সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সবাইকে কাঁদিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। এরপর পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে মাজহারুল আনোয়ারের বাড়িতে যান গাজী।
ভারেনিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গীতিকার কবিকে একটি কবিতাও লিখেছেন। শাকিব লিখেছেন, “একটি বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে, গাজী আঙ্কেল একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক হিসাবে সঙ্গীতের বাইরে বিকশিত হয়েছেন। শিল্প-সংস্কৃতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, ভালোবাসা। , ঘৃণা, মমতা, বিচিত্র সব অনুভূতি প্রকাশের জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সব অমর সৃষ্টি এদেশের মানুষের হৃদয়ে খুব প্রিয় হয়ে থাকবে।
গান রচনার পাশাপাশি গাজী মাজহারুল আনোয়ার অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। নান্টু ঘটক পরিচালিত তার প্রথম ছবি মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। তার পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবির সংখ্যা ৪১টি। শাকিব খান জানান, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছবিতে কাজ করার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু তা করতে না পারায় আফসোস করেন তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারও তার ছবিতে শাকিব খানকে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন, যার চিত্রনাট্য প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, তার আগেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
সাকিব আরও বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলবে। আর একজন গাজী মাজহারুল আনোয়ার তৈরি হবে না। তার স্থান অপূরণীয় হবে।
গাজী মাজহারুলের প্রয়াণে অনেকে দুঃখ প্রকাশ করেছে। অনেক নামি দামি শিল্পীরা গাজী মাজহারুলের প্রণয়নের পর তার বাড়িতে উপস্থিত হন। কান্নায় জর্জরিত হয় অনেক শিল্পী। তারা গাজী মাজহারুলের আত্মার শান্তির কামনা করেন।