আজমেরী হোক বাঁধনা। বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত একজন অভিনেত্রীর নাম। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় জায়গায় করে যাচ্ছেন সমান তালে দাপুটে অভিনয়। তবে সম্প্রতি তার জীবনের কথা তিনি জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমে। আজমেরী হক বাঁধন দাবি করেন, বিয়ের পর তার স্বামী জোরপূর্বক যৌ**কর্ম করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বাঁধন বলেন, ‘আমার আগের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে পড়াশোনা করতে দেয়নি। বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছিলাম।তও আমি মেনে নিয়েছিলাম। ভাবলাম, হয়তো এভাবেই থাকতে হবে। অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিল, শিশুরাই সব সমস্যার সমাধান। কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারিনি, আমি বৈবাহিক ধ**র্ষ**ণের শিকার।
৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০, বাঁধন ব্যবসায়ী মাশরুর সিদ্দিকীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। এরপর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিনয় থেকে দূরে থাকেন তিনি।
পারিবারিক জীবনে সুখী না হওয়ায় বাঁধন ১০ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তবে ডিভোর্স সার্টিফিকেটে ১০ আগস্টকে বিচ্ছেদের তারিখ হিসেবে ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিচ্ছেদের পর থেকেই মূলত আগের থেকে আরো বেশি অভিনয়ে মন দিয়েছিলেন বাঁধন। তিনি সেই থেকেই তার জীবনে তার মেয়ে এবং অভিনয়কে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন।আর তার ফলও পেয়েছেন তিনি হাতেনাতে। ৭৪ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন সার্তে রিগা বিভাগে প্রতিযোগিতায় তার চলচ্চিত্র রেহানা মরিয়ম নূর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি লাইমলাইটে আসেন। এরপর তিনি টলিউড ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ আখতার খাতে খেলনা আসেনি’-তে অভিনয়ের সুযোগ পান। সেখান থেকেই বলিউডে পা রাখেন তিনি। অভিনয় করেছেন ‘খুফিয়া’ নামের ছবিতে।