সেনাবাহিনীর পাশাপাশি এবার দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সারাদেশে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা আরও প্রসারিত হলো, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের ভূমিকা আরও সুসংহত করবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়। এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সেই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথমে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একই ধারা অবলম্বন করে সশস্ত্র বাহিনীকেও বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন আরও শক্তিশালী হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা এর ফলে আরও কার্যকরী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার কারণ মূলত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্ষমতা বাড়ানো। বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করে এই বাহিনীকে সরাসরি অপরাধ দমন, তদন্ত এবং দ্রুত শাস্তি প্রদানে সক্রিয় করা সম্ভব। এ ধরনের ক্ষমতা সাধারণত তখনই দেওয়া হয় যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট নয় বলে বিবেচিত হয়