সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে মধ্যরাতে ডাকাতি শেষে এক নারীকে জোরপূর্বক খারাপ কাজে লিপ্ত করার ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সেদিনের পুরো ঘটনা খুলে বলেন আসামিরা।
ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর টাঙ্গাইল ঈগল পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেয় ডাকাত দল। ডাকাতির পর বাসের এক নারী যাত্রীর সঙ্গে পালাক্রমে খারাপ কাজ করেন তারা।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া থেকে ২৪/২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জে পৌঁছালে কয়েকজন ডাকাত যাত্রী বেসে বাসে ওঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর তা নিয়ন্ত্রণে নেয় ডাকাতরা।
পরে তারা বাসে থাকা যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর করে টাকা ছিনতাই করে। এ সময় বাসের ভেতরে একদল ডাকাত এক নারীর সঙ্গে খারাপ কাজ করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির পাড়ে বাস ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে রাজা মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে রাজা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন বলে দাবি পুলিশের এক কর্মকর্তা। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে আটক করা হয়।