প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সেটি বিগত কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে হয়নি। শেখ হাসিনার ক্ষমতা আসার কারনে এদেশের মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে। কিন্তু এই উন্নয়ন অন্য সবার চোখে পড়লেও শুধু বিএনপির চোখে পড়ে না। তারা আবারও ক্ষমতায় আসতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে এদেশের মানুষ সে সুযোগ আর দেবে না। ৭৫-এর পর সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা মন্তব্য করে যা বললেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭৫-এর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সমাবেশ করেন মানুষ সাড়া দেয় না কেন? এর কারণ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা। কার জনপ্রিয়তা বেশি তা আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ২১ আগস্ট গ্রে/’নেড হা/মলার ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান গোলাপ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, অপেক্ষা করুন। কে কত জনপ্রিয় প্রমাণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন, বাংলাদেশের মানুষ কী চায় তা প্রমাণিত হবে। শেখ হাসিনা জনপ্রিয়। বাংলাদেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। তার উন্নয়নে বাংলাদেশের মানুষ খুশি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব পল্টন ও প্রেসক্লাবের নির্দিষ্ট স্থানে সমাবেশ করে আপনার জনপ্রিয়তা তলানিতে নিয়ে গেছেন। আমি বলব, এই মুহূর্তে পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এই সত্য আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব স্বীকৃত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নেত্রী, নেত্রী আপনি অনেককে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হ/ত্যার যারা মাস্টারমাইন্ড, একুশে আগস্টেরও মাস্টারমাইন্ড তারা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জবানবন্দিতে মুফতি হান্নান বলেন, হাওয়া ভবনের নির্দেশ পেয়ে আমরা অপারেশন শুরু করেছিলাম। তারা কি এই সত্য অস্বীকার করতে পারে?
বিএনপি মহাসচিবের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পেয়ে কাদের বলেন, রাজনৈতিক সম্পর্কের এই দেয়াল একুশে আগস্টে এসে আরও উঁচুতে গেছে। এর সৃষ্টি করেছে বিএনপি। তারপরও শেখ হাসিনা তাদের গণভবনে ডাকেন, সংলাপ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছেলের মৃ/ত্যু, শোকসন্তপ্ত মাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাড়ির দরজা বন্ধ, প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর বাইরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হল। সেদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে আপনারাই বাংলাদেশে রাজনৈতিক সম্পর্কের দেয়ালকে আরও উঁচুতে তুলেছেন। আপনারাই সেদিন প্রকারান্তরে সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রে/’নেড হা/মলার কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওইদিন ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আজ এখানে অনেকেই এসেছে। যারা সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের অনেকেই এসেছেন এখানে। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের খোঁজখবর রাখেন। তিনি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা না থাকলে আজকে কী হতো বাংলাদেশের। কোথায় হতো পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে? বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে রোগের সময় পাওয়া গেলো ৬ষ্ট জন্ম দিন। যে দলের নেতার এতগুলো জন্মদিবস তাকে কি বিশ্বাস করা যায়?
প্রসঙ্গত, আওয়ামীলীগ যারা এদেশ থেকে শেষ করে দিতে চেয়েছে তারা সংলাপ করতে চায় কোন মুখে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক। তিনি বলেন, এদেশের মানুষের কাছে তাদের কোনো স্থান নেই সেটি প্রমাণ আর নতুন করে কি দিতে হবে।