দাম্পত্য কলহের জের ধরে চলতি বছরের গত ১৬ জানুয়ারি বাংলা সিনেমার অন্যতম সাড়া জাগানো অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে ‘হ’ত্যা”র’ অভিযোগে দায়ের করা মা’মলা’র অন্যতম প্রধান আসামি স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে নিজ স্ত্রীকে নি’থ’র করার কথা স্বীকার করেন নোবেল।
কয়েকদিন আগে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিমুর ঘটনায় স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
অভিযোগ পত্রে জানা যায়, স্বামী নোবেল ক্ষি’প্ত হয়ে স্ত্রী শিমুর ওপর ‘চড়াও হন। ফরহাদ সিমুর গ’লা চে’পে ধরেন, আর নোবেল দুই হাত চে’পে ধরেন। একপর্যায়ে শিমু মেঝে’তে প’ড়ে যায়। এ সময় নোবেল শিমুর ‘গ’লা’য় পা দি’য়ে দাঁ’ড়ায়। প্র’স্রাব করে দেন শিমু। এক পর্যায়ে নি’স্তেজ হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী। এভাবেই মৃ’ত্যু’র কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
গত ২৯ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও নোবেলের বাল্যবন্ধু এসএম ফরহাদকে আসামি করা হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে বস্তায় অজ্ঞাত চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) ‘লা’শ’ উ’দ্ধা’র করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। পরে রাতেই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আঙুলের ছাপ দিয়ে তাকে শনাক্ত করে।
শিমুর ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে নোবেল ও তার বাল্য বন্ধুর বিরুদ্ধে ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। এছাড়া মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম রাবেয়া বেগম তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আর এরই জের ধরে গত ২০ জানুয়ারি আদালতে জবানবন্দি দেন শিমু ‘হ”ত্যা” মামলার অন্যতম এই দুই আসামি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইনের জালে ফেঁসে যান তারা। এই মুহূর্তে কারাগারের চার দেয়ালের মাঝে দিন কাটছে তাদের।