জাতীয় শোক দিবসে বরগুনার ঘটনায় এখনো যেন আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। বিশেষ করে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের যেভাবে মারধর করেছে পুলিশ তা নিয়ে যেন আলোচনা থামছেই না। এ দিকে এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিকী নাজমুল।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী বলে কিছু নেই। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে বুয়েটে মৌলবাদী শক্তির গোপন তৎপরতা চলছিল। শনিবার এ তথ্য জানা গেছে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা শোক দিবস উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানে গেলেও তথাকথিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে হিযবুত তাহরীর ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা তাদের নানা অপমান করে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, বরগুনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ নির্মম লাঠিচার্জ করেছে। এটা দুঃখজনক. কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী গাড়ি ভাঙচুর বা অন্য কোনো অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশাসনের কোনো নির্দেশনা নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে একজন কর্মকর্তা যেভাবে আচরণ করেছেন তা আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়েছে। এখানে কিছু আদর্শগত বিভ্রান্তি আছে, নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ১৫ আগস্ট শোক দিবসে তারা এটা করেছে; এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। যারাই দোষী, এ ঘটনায় কোনো উসকানি থাকলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ২০১১-১৫ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, ছাত্রলীগের জন্ম কোনো ড্রয়িংরুম বা সেনানিবাসে হয়নি। দেশের প্রয়োজনে, মাটির প্রয়োজনে, ভাষার প্রয়োজনে জাতির পিতার হাত ধরে ছাত্রলীগের জন্ম। এই ছাত্রলীগের ইতিহাস সোনালী দিনের ইতিহাস, গৌরবময় দিনের ইতিহাস। ছাত্রলীগ নিয়ে কে কী বললেন, কারও কথায় ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি, হবেও না। তিনি বলেন, দেশের সকল সোনালী অর্জনের গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
প্রসঙ্গত, এ দিকে ছাত্রলীগের এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সেই পুলিশ সুপারকে করা হয়েছে বদলি। এ ছাড়াও বরগুনার এমপি তার স্থায়ী বহিস্কার চেয়েছেন বলেও জানা গেছে।