সাবেক সেনা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আর সেখানে বসেই তিনি বেশি কিছু বিষয় নিয়ে খোলাসা করছে তার লেখনী দিয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অনেক গোপন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করে যাচ্ছেন তিনি। আর সেই অনুযায়ী তিনি ধারাবাহিক ভাবে লিখে কছেন তার এক সময়ের বন্ধু জিয়াউল আহসানের নানা ধরনের বিতর্কিত গোপন কর্মকান্ড নিয়ে। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই ধারাবাহিক লেখনীর ৫ম পর্ব তুলে ধরা হলো হুবহু:-
আমার কাছের-দূরের কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী আগের চারটি পর্ব পাঠের পরেও বুঝতে পারছেন না কিংবা বুঝতে চাইছেন না আমি কেন আমার প্রাক্তন বন্ধুকে নিয়ে লিখছি। তাই আমার অবস্থানের সার কথা আবারও বলছি। একটা কথা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, ‘নট টু স্পিক ওয়ান’স থট ইজ স্লেভারি’।
আমি আমার নিজের চোখে দেখা এবং অদেখা মানবাধিকার বিরোধী বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়েও এতদিন বন্ধুত্বের খাতিরে চুপ ছিলাম, যেমন চুপ করে আছেন আমার চেনা অচেনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসংখ্য সমসাময়িক সেনা অফিসার। সার্ভিং অফিসাররা চাকুরীচ্যুতির ভয় পান বলাবাহুল্য আর রিটায়ার্ড সেনা অফিসাররা নিতান্ত চক্ষুলজ্জা, সমালোচনার মুখে পড়তে না চাওয়া সর্বোপরি প্রাণের ভয়ে জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাইছেন না অথবা পারছেন না। আমার ইনবক্স ভরে আছে অসংখ্য মানুষের দোয়া, শুভকামনা আর সাহসিকতার প্রশংসায়। এর মাঝে অবসরপ্রাপ্ত লে: জেনারেল থেকে শুরু করে নানা স্তরের ছাপোষা লোকজনও আছেন যারা প্রকাশ্যে সামান্য একটা লাইক রিয়েক্ট দিতেও ভয় পান। বর্তমান সরকার এমনই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে যে, ফেসবুক মন্তব্যসূত্রেও গুম হয়ে যেতে পারেন আপনি।
জিয়াউল আহসান এবং আমি শুধু বন্ধুত্বের কারণে নয় পেশাগত কারণেও অনেকদিন কাছাকাছি অবস্থানে ছিলাম। সে যেমন আমাকে পেশাগত কাজে সহযোগীতা করেছে তেমনি আমিও তার প্রয়োজনে তার পাশে দাঁড়িয়েছি ন্যায়সঙ্গত কারণে। কিন্তু জিয়া যাদের গুম করেছে/খুন করেছে তাদের পক্ষে কে দাঁড়াবে? বাংলাদেশে কে সাহস করবে জিয়ার মত মানুষের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করতে? আমাদের প্রাক্তন ক্ষমতাধর জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া (আইকেবি)র মত মানুষও তো পারেন নাই। জ্বী, আপনি ঠিকই পড়েছেন, আমাদের প্রাক্তন চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল আইকেবি পারেন নাই জিয়াকে সেনা কানুনের আওতায় নিয়ে আসতে। কেন পারেন নাই তার কারণ জানতে চান? কারণ হলো, জিয়ার নিরঙ্কুশ ক্ষমতার উৎস হলো এই ভোটচোর স্বৈরাচারী সরকার।
দেশে অবস্থানকালীন সময়ে বিবেকের দংশনে আমার কতবার মনে হয়েছে আমি এ বিষয়ে কথা বলি, তখন যদি বলতাম তবে হয়ত লে: কর্নেল মোস্তাফিজ নামের কেউ বর্তমান সরকার তথা জিয়াউল আহসানের গুম/খুন নিয়ে কথা বলেছিল সেটাও আপনারা জানতে পারতেন না। শেষ পর্যন্ত আমি আমেরিকায় পাকাপাকিভাবে স্থানান্তরিত হওয়ার পর জিয়া নিজে আমাকে তথাকথিত এই বন্ধুত্বের বোঝা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিভাবে? সেনাবাহিনীতে আমার ২৮ বছরের কাজের প্রাপ্য পেনশন, বন্ধু বোরহানের সাথে আমাদের ফোনকল রেকর্ড আর ফাইনালি সরকারের বিরুদ্ধে লেখালেখি না করার জন্য উপদেশ দেয়- ফলোড বাই থ্রেট; যা আমি আগের পর্বে বলেছি।
আলহামদুলিল্লাহ! অবশেষে আল্লাহ আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাহস জুগিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামিন নিশ্চয়ই আমাদের সঠিক পথে পরিচালনা করেন।
জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া সেনাপ্রধান থাকাকালীন স্যারের সাথে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্হার একজন উর্ধতন কর্মকর্তা দেখা করেন। তিনি তৎকালীন র্যাব এর কর্নেল জিয়ার কার্যক্রম সম্পর্কে স্যারকে কিছু তথ্য প্রমাণ উপস্হাপন করেন। এর সাথে যুক্ত হয় একজন প্রাক্তন র্যাব অফিসারের বক্তব্য। বক্তব্য এবং তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রটোকল অনুযায়ী স্যারের যেটা করা উচিত ছিল তা হলো, এ বিষয়ে প্রথম একটি গোপন এবং পরবর্তীতে প্রকাশ্য তদন্ত করা। কিন্তু স্যার আওয়ামী লীগ সরকারের মত বলে দিয়েছিলেন যে এসব তথ্য প্রমাণে নিশ্চিত ভাবে কর্নেল জিয়াকে দোষারোপ করা যায় না। শুধু তাই নয়, এটার অফিশিয়াল কভারের জন্য তিনি সেই মানবাধিকার কর্মকর্তার সামনে তৎকালীন ডিপিএস (যিনি সেনাসদরে সেনা সদস্যদের শৃংখলা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত)কে ডেকে জিয়ার শৃংখলা বিষয়ে মতামত নেন। তবে এই ঘটনার পর জেনারেল আইকেবি স্যার জিয়ার গুম/খুনের সাথে জড়িত হওয়া এবং র্যাব এ প্রেষনে নিয়োজিত অফিসারদের এই মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড সম্পৃক্ত করার বিষয়ে তার ইনার সার্কেলে তার উদ্বেগের কথা জানান। আমি আগের পর্বে বলেছি এই ব্যাপারে।
এবার আসি কী ভাবে জিয়া সেনা অফিসারদের এই গুম/খুন তথা ক্রসফায়ারে নিয়োজিত করে। আমি অধিনায়ক ঢাকা ডেট এএসইউ থাকাকালীন সে সময় র্যাব এ কর্মরত বেশ কিছু সেনাবাহিনীর অফিসার ছোট বড় অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট হন যার কিছু কিছু তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়। আমার অধিনায়ক যেহেতু জানতেন জিয়ার সাথে আমার সুসম্পর্ক আছে তাই তার কাছে কোন ডাটা আছে কিনা খোঁজ নিতে বলেন। র্যাব যেহেতু অফিশিয়ালি এই তথ্য দিবেনা তাই আমি যেন বিষয়টা পারসু করি। আমার সব কথা শুনে জিয়া বলল, হ্যা সবই আছে তবে সে এটা আমাকে দেবেনা। আমি তাকে যুক্তি দিয়ে বোঝালাম তোদের এখানে কেউ অনিয়ম করলে তোরা তাকে সেনাবাহিনীতে ফেরত পাঠিয়ে দিস কিন্তু সেনাবাহিনী তার অপরাধ সম্পর্কে কিছুই জানেনা এটা হওয়া উচিত নয়। তোর আমাকে (আমি মানে এএসইউ) এই ডাটা দেওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত জিয়া রাজী হল তবে আজ দেবো কাল দেবো বলে তালবাহানা করছিল।
অপেক্ষা করে করে শেষ পর্যন্ত একদিন ফোন করে জিয়ার অফিসে একটা পেনড্রাইভ সহ গেলাম। জিয়া তখন চরম ব্যস্ত। বললো, দোস্ত দেখ পুলিশ হেড কোয়ার্টার আমাদের সাথে ডিসকাস না করে ছয়জন সদ্য প্রোমোশন পাওয়া ডিআইজিকে র্যাবে পোস্টিং দিয়ে দিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য তো আমি বুঝি দোস্ত, যাতে র্যাবে সিওগুলা বেশী পুলিশ থেকে হয়। কিন্তু আমি এর মধ্যে ম্যাক্সিমাম দুইটারে রাখব। বাকী সব বাতিল। আমাদের কথোপকথনের মাঝেই একজন জিয়ার রুমে ঢুকলেন। জিয়া তার ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করলো। আমি নীরব দর্শক। জিয়ার বডি ল্যাংগুয়েজ আর কথাবার্তায় মনে হলো, এই ভদ্রলোককে জিয়ার পছন্দ হয়নি। এরপর এলেন আরেক অফিসার। ইনি লম্বা, সুঠাম শরীর। প্রথম দেখায় আমার মনে হল জিয়ার একে পছন্দ হবে। হলোও তাই। পরের জন নিজেকে স্মার্টলি উপস্হাপন করলো। তার ব্যাকগ্রাউন্ড বলল। জিয়ার অফিসে তৎকালীন র্যাব এর মিডিয়া উইং এর প্রধান কমান্ডার সোহেল স্যার সহ আমরা চা-নাস্তা করলাম। এরই মধ্যে জিয়া জানালো, দ্বিতীয় অফিসারকে তার পছন্দ হয়েছে এবং তার ফাইল সে আগেই পড়েছে। জিয়া আরও বলল যে, অফিসের এই ইন্টারভিউতো কিছুনা এদের আসল ইন্টারভিউ হবে আজকে রাতের অপারেশনে। সে ট্রিগার টিপতে পারে কিনা সেটা দেখবো। জিয়ার এই স্টেটমেন্ট শুনে আমি মোটামুটি ফ্রীজ হয়ে গেলাম। বুঝতে কোন সমস্যা হলো না সে কোন ট্রিগার টেপার কথা বলছে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর আরেকজন অফিসারের কাছে সুদানে বসে বিস্তারিত জেনেছিলাম কীভাবে জিয়া ইন্টারভিউ নেয়ার পর রাতে সেই অফিসারদের পূর্বে আটক কৃত ব্যক্তিদের নির্জন স্হানে নিয়ে গিয়ে তাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করতে বাধ্য করে।
আর কী জানতে চান আপনারা? এসব ঘটনা আমাদের সমসাময়িক বহু অফিসারই জানেন। আজ যারা ভাব করছেন যে তারা কিছুই জানেন না, তারা হয় বালুতে মুখ বুজে সত্যকে অস্বীকার করতে চাইছেন, নয়তো নিজের ও পরিবারের প্রাণের ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই কে করতে চায় বলুন?
এবার আসুন এসব গুম/খুনে সরকার কী ভাবে জড়িত সেটার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
২০১১ সালের ৫ই মার্চ, শনিবার লাঞ্চের পর জিয়ার অফিসে গিয়েছি। উদ্দেশ্য বন্ধুর সাথে আড্ডা মেরে সেনানিবাসে ফেরত যাবো। গিয়ে দেখলাম জিয়ার রুমে কমান্ডার সোহেল স্যারও বসে আছেন। আমি যাবার কিছুক্ষণ পর মেস ওয়েটার তিন জনের লাঞ্চ দিয়ে গেল। আমি খেয়ে আসার পরও সোহেল স্যারের কথায় পুনরায় লাঞ্চ করতে বসলাম। এর মাঝে জিয়া আর সোহেল স্যার পরবর্তী কোন একটা অপারেশনের পর কীভাবে বড়সড় একটা মিডিয়া ব্রিফিং এর ব্যবস্থা করবে তা নিয়ে আলোচনা করছিল। বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে সোহেল স্যার বললেন, আমরা এখন নেভী হেডকোয়ার্টারের মেসে যাবো। তুমিও চল। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আসবেন। তার কাছ থেকে নেক্সট অপারেশনের এ্যাপ্রুভাল নিতে হবে। আমি ভেতরে ভেতরে তখন বেশ উত্তেজিত। তার মানে হোম মিনিস্টার গুম/খুনের বিষয়ে অনুমোদন দেবেন? নাকি রেগুলার কোন অপারেশনের জন্য? আমি যারপরনাই অনুসন্ধিৎসু হয়ে পড়লাম।
আমরা নেভী মেসে গিয়ে জানতে পারলাম যে, হোম মিনিস্টার সাহারা খাতুন তার নির্বাচনী এলাকা ভাসানটেকে পাবলিক মিটিং এ ছিলেন এবং সেখান থেকে তিনি পরবর্তী গন্তব্যে যাওয়ার আগে নেভী মেসে কিছুক্ষণ বসবেন। এই ‘বসা’র ব্যাপারটা কমান্ডার সোহেল স্যার সমন্বয় করেছেন অপারেশনের এপ্রুভাল নেবার জন্য। কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলেন। তাকে আপ্যায়িত করতে চা এবং স্ন্যাকস পরিবেশিত হল। কর্মক্লান্ত দিন শেষে অবসন্ন মন্ত্রী জিয়া/সোহেল স্যারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী বলবেন আপনারা তাড়াতাড়ি বলেন’। কমান্ডার সোহেল স্যার তখন এগিয়ে গিয়ে সাহারা খাতুনের সামনে নিলিং পজিশনে বসে দুইজন মানুষের নাম উল্লেখ করেন যার একজনের নাম ছিল ভুট্টো, অপর নামটি মনে করতে পারছি না। ভুট্টো নামটি আনকমন হওয়ায় মনে ছিল।তাদের বিরুদ্ধে অনেক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে সাহারা খাতুনকে বললেন যে এদের এখন সরিয়ে ফেলা উচিত। সাহারা খাতুন তখন তার বামে দাঁড়ানো জিয়ার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা সবকিছু ডাবল চেক করেছেন তো?’- মন্ত্রী এই কথাটা দুইবার উচ্চারণ করেন। জিয়া এবং সোহেল স্যার উভয়েই তাকে নিশ্চয়তা দেন এই দুই সন্ত্রাসীর বিষয়ে অনেকবার নিশ্চিত করা হয়েছে। তারপর সাহারা খাতুন বললেন, ‘দেখেন আপনারা এটা ঠিক মনে হলে করেন। আপনাদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে’।
কিছুদিন পরে আমার অফিসে প্রতিদিনের পেপার কাটিং ফাইলে দেখলাম রাসেল আহমেদ ভুট্টো নামে একজন র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত। এই খবর বিস্তারিত পড়ে জানলাম যে, ভুট্টোকে র্যাব ক্রসফায়ার করে ১০ই মার্চ কিন্তু তার পরিবার নিশ্চিত করেছে যে ৩রা মার্চ ভুট্টোকে সাদা পোষাকে র্যাবের সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। তার মানে হলো, জিয়া আর সোহেল স্যার যখন ভুট্টোর ক্রসফায়ারের জন্য অনুমোদন নেয় তখন সে র্যাবের কাস্টডিতেই ছিল। ১০ই মার্চ, ২০১১ সালে ভুট্টোকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। সাহারা খাতুনের কাছে দুইজনের অনুমোদন নেয়া হলেও সে সময় আমার নজরে শুধু এই সংবাদটিই এসেছে। অপর সম্ভাব্য ভিক্টিমের কোন খোঁজ পাইনি। ভুট্টোর ক্রসফায়ারের ঘটনাটি নিয়ে হিউম্যান রাইট ওয়াচের একটি রিপোর্টের লিংক: https://www.hrw.org/…/Crossfire%20Press%20Release%20…
জী, ক্ষমতার রুটি-হালুয়া যে অতি স্বাদু তা কে না জানে। গুটিকয় ক্ষমতালোভী মানুষ রাষ্ট্রীয় রুটি-হালুয়া পেয়ে যা ইচ্ছা তা’ই করছে কারণ বলার কেউ নেই। আপনারা আজ যারা খুনী জিয়াউল আহসান তথা রাষ্ট্রীয় অবিচার, শাসন-শোষণে চুপ মেরে আছেন, নীরবতাকে যারা জীবনের ব্রত হিসাবে নিয়েছেন তারা মুখ খুলুন। অন্য কোথাও না পারেন নিজের ফেসবুকে দুইটা লাইন লিখুন। মনে রাখবেন, ‘টেন পিপল হু স্পিক মেইক মোর নয়েজ দেন টেন থাউসেন্ড হু আর সাইলেন্ট’।
ভোটচোরা স্বৈরতন্ত্র কী চায় জানেন? শুধুই আপনার নীরবতা।
সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ সার্ভিস দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান। আর সে সময়ে তিনি অনেক কিছু দেখেছেন নিজের চোক। অনেক সময়ে বলতে পারেননি নিজের কথা। আর এই কারণেই বিদেশে অবস্থান করে এখন লিখছেন অনেক বিষয় নিয়ে। তার লেখনী পাঠকমহলেও হচ্ছে বেশ সমাদৃত।