প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু উদ্ধোধনীতে বলেছেন, যারা পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু ২১ জেলার মানুষের অনেক উন্নতি করবে। জনতার শক্তিই আমার শক্তি। আমরা নির্মাণ করে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনাদের শক্তি দিয়েই এই সেতু নির্মান করা হয়েছে। আর কাউকে সন্তান ও পিতাসহ আপন জনকে হারাতে হবে না। পদ্মা নদী এখন সুন্দরভাবে পারাপার করতে পারবেন। যারা পদ্মা সেতুর জন্য জায়গা দিয়েছেন তাদের টাকা দিয়েছি। আমি জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি।
অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সেই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন সর্বস্তরের মানুষ। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর গেট। শনিবার দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে গত তিন দিন ধরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পদ্মা এলাকা। রঙিন ফেস্টুনে ভরপুর পদ্মাপাড়। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে পদ্মা সেতুর মতো এত বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন সত্যিই অবিশ্বাস্য। গৌরবময় মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে শরীয়তপুরের লাখো মানুষ পৌঁছেছে বাংলাবাজারের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটের জনসভাস্থলে। কিন্তু মহামারি সংক্রামন পজিটিভ হওয়ায় শরীয়তপুরের তিন সংসদ সদস্য জনসভায় যোগ দিতে পারেননি। শনিবার তারা নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস// বুকে তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে ক// রোনা পজিটিভ নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। তারা লিখেছেন, আজ ২৫ জুন, ২০২২, বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় দিন। আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানকে সফল করতে আমরা গত এক মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের জন্য (আসুন তিন-পয়েন্ট সংক্রামন পরীক্ষা করি) আমরা গতকাল রাতে ইভেন্টে যোগ দিতে পারিনি কারণ আমরা তিনজনই কাপুরুষতাপূর্ণ ইতিবাচক ছিলাম। এমন একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। রোববার সকাল ৬টা থেকে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু সড়কটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর উদ্ধোধনী সমাবেশে বক্তব্যকালে জনগণের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই যার যার জায়গায় গাছ লাগাবে। এক ইঞ্চি জায়গাও খালি রাখা যাবে না। আপনারা জানেন, রাশিয়া-ইউক্রেন খাদ্য সংকট তৈরি করছে। বাংলাদেশে যেন খাদ্যের অভাব না হয় সেদিকে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। যার যা আছে, সে যেখানেই উৎপাদনের চেষ্টা করবে। নিজে খাবেন, অন্যকেও খাওয়াবেন, বাজার জাতও করবেন। এমনভাবে কাজ করুন যাতে কোনো জায়গা খালি না থাকে। এ দেশ আপনাদের, এ দেশ আমাদের।