আলোচিত পদ্মা সেতু তৈরী নিয়ে নানা্ ধরনের আলোচনা- সমালোচনার সৃষ্টি হয় দেশ ও দেশের বাহিরে। তবে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সাহসি সিদ্ধান্তে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের এক নতুন অধ্যায় শুরু করল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুতে ষড়যন্ত্রেরকারীদের সম্পর্কে এবার যা বলা হল।
পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে কমিশন গঠন করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শুনানিতে সেতু কর্তৃপক্ষের আইনজীবী বলেন, শুধু ডাঃ ইউনূস নন; ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। তদন্ত তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে ।
এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল বলে মনে করছে সরকার। বলা হয়ে থাকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ হারানোর পর অর্থায়ন বাতিলে তদবির করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে ছয় বছর আগে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) মামলার শুনানি শেষে এক মাসের মধ্যে কমিশন গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, হাইকোর্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে কমিশন গঠন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
দুদক ও সেতু কর্তৃপক্ষের আইনজীবী আবদুন নূর দুলাল বলেন, তদন্তে মুখোশ উন্মোচিত হবে ষড়যন্ত্রকারীদের।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে। জাইকা, এডিবি, আইডিবিও ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয়ার চুক্তি করে। কিন্তু দাতা সংস্থাগুলো দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রত্যাহার করে নেয়। তবে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। কানাডার একটি আদালত রায় দিয়েছে যে দুর্নীতির অভিযোগ গালগল্প ছাড়া আর কিছুই নয়।
অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় পদ্মা সেতু।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত করতে এবার কমিশন গঠন করা হচ্ছে। যারা এর সাথে জড়িতে ছিল তাদের সম্পর্কে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়া হয়েছে।