আলোচিত পদ্মা সেতু তৈরী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয় দেশ ও দেশের বাহিরে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতে হয়েছে এমন অভিযোগ এনে অর্থায়ন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেই বিশ্বব্যাংক। পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরী সিদ্ধান্ত নেন। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তাবায়ন শেষ পর্যায় এ মাসেই উদ্বোনধন করা হবে। এবার বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করার জন্য ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বিশ্ব ব্যাংকের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আর যারা বিশ্ব ব্যাংকের কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের এ সংস্থাটির ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অবস্থার পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটি আপনি বিশ্ব ব্যাংকে জিজ্ঞেস করেন। আমি ওদের সঙ্গে ডিল (কাজ) করি না।
তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাদের নিশ্চয়ই দুঃখ হওয়া উচিত, যে তারা এত অন্যায় কাজ করেছে। বড় কোম্পানি সবসময় ভালো করবে এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। তারা অনেককে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেছে। যে লোকগুলোকে বিশ্ব ব্যাংক হয়রানি করেছে, হেস্তনেস্ত করেছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত। আর তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত, যে আমরা খুব অন্যায় কাজ করেছি।
বাংলাদেশ কি এ বিষয়ে কোনো চিঠি দেবে? জবাবে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের এত তাড়া নেই। তাদের এমন মনোভাব থাকা উচিত যে তারা অন্যায় করেছে। দোষ স্বীকার করে নিলে ক্ষতি নেই।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্থায়ন থেকে বিরত থেকে বিশ্বব্যাংক। পরে বিষয়টি অনেকেই হয়রানির শিকার হন। এ বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিশ্বব্যাংকের এমনটায় মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।