Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সেটা আমি কখনো সহ্য করব না : প্রধানমন্ত্রী

সেটা আমি কখনো সহ্য করব না : প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতাসীন সরকার এদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য চিন্তা করে বলে দেশ আজ বর্তমান অবস্থানে আসতে পেরেছে। অথচ দেশের কিছু দল আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ জানে আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে যা অন্য কোনো সরকার করেনি বলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই বলে মন্তব্য করে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সরকার কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই, এটাও শুনতে হয়।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন টক শো করে যে যার মতো কথা বলে। একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আওয়ামী লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে? বলেন তো কেউ পেয়েছে কখনো সুযোগ? পায়নি। একটা টেলিভিশন, একটা রেডিও। কোথায় টকশো আর কোথায় মিষ্টি কথা আর রসগোল্লার মিষ্টি হোক কোথাও তো কেউ পায়নি; কথা বলার তো অধিকার ছিল না। ’

‘হ্যাঁ, এখন শুনি, সব কথা বলার পরেও বলে—কথা বলার অধিকার নাই; এটাও শুনতে হয়। জনগণ এখন রাজপথে আন্দোলনে সাড়া না দিলে দায় আমাদের নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ভুলে গেছে বিএনপির হাতে নির্যা/তিত হওয়ার কথা। ‘

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর তো সবাই চড়াও হয়েছে। তিনি জিয়াউর রহমানকে দিয়ে শুরু করেন তারপর একের পর এক। লাশ টেনে চিকিৎসা করতে গিয়ে আমরা নাভিশ্বাস উঠেছিল আমাদের। সেই পরিবেশ কি আজ বিদ্যমান? ‘

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দলের কেউ অন্যায় করলেও আমরা কিন্তু ছেড়ে দেই না। আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে, কিছু বলবো না তা কিন্তু না। তবে যারা অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব এবং নিচ্ছি। সেটা আমি কখনো সহ্য করব না। ‘

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আসুক। খন যারা তত্ত্বাবধায়ক বা ইত্যাদি বলে চিৎকার করছেন, তারা ওয়ান-ইলেভেনের কথা ভুলে গেছে? ২০০৭ এর কথা ভুলে গেছে, কী অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছিল? রাজনৈতিক কর্মী কি সাংবাদিক সবার নাভিশ্বাস উঠেছিল। সেখান থেকে তো সবাই অন্তত মুক্তি পেয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ থেকে এই ২০২২ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে কথা বলার যে অধিকার, চলার অধিকার, সমালোচনার অধিকার, প্রশংসা করার অধিকার সবই তো পাচ্ছেন। কেউ তো কাউকে মুখ বন্ধ করে রাখছে না। কাউকে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। পূর্ণ স্বাধীনতা এটা তো আমি দিয়েছি, এটা তো স্বীকার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে গনতন্ত্র বজায় থাকা ও স্বাধীন ভাবে কথা বলার অধিকার সবাইকে দেওয়া হয়েছে যা আগে কেউ কখনো্ পায়নি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনো ধরনের নৈরাজ্য ও স/ন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে কাউকে দেওয়া হবে না।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *