ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপিদের অনেকের প্রশ্ন জিয়াউর রহমান যেখানে সমাহিত করা হয়েছে আদৌও কি তার লাশ সেখানে ছিল। বিএনপি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যে শ্রদ্ধা করতে যায় সেটি কি লোক দেখানো। কারন সেখানে তাকে দাফন করা হয়েছিল কিন্তু তার লাশের প্রমাণ মেলেনি। তাহলে প্রকৃত ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরার উচিত বলে জানান সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। খালেদা জিয়া স্বামী ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানান বলে মন্তব্য করে যা বললেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘কথিত আছে যে রাজধানী ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়েছে। কিন্তু তার মরদেহ কেউ দেখেনি। সেখানে জিয়া নাকি অন্য কোনো মানুষ বা প্রাণিকে সমাহিত করা হয়েছে এ নিয়ে সবার মাঝে সংশয় রয়েছে। তাই খালেদা জিয়ার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি স্বামী ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানান? সেখানে কি জিয়ার মরদেহ রয়েছে নাকি অন্য কোনো পরপুরুষের। এ বিষয়ে আশু বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত হওয়া জরুরি। খালেদা জিয়াকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা যেতে পারে। আমরা এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ’র তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হ/ত্যা করা হয়। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু জানতে পেরেছিলেন যে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।,কিন্তু তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কোনো বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে।’
কে এম খালিদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু হ/ত্যার নেপথ্যে কারা ছিল তাদের খুঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠন করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, কমিশন কাজ শুরু করলে জিয়াউর রহমান, আ স ম আবদুর রব, কর্নেল তাহের, কবি আল মাহমুদ সহ যারা বঙ্গবন্ধু হ/ত্যার নেপথ্যে ছিল বা এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছি।
স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি মানবিক, আত্মত্যাগ ও সেবামূলক কাজ উল্লেখ করে সচিব বলেন, এর মাধ্যমে রক্ত দানকারীদের মধ্যে বৃহৎ আত্মত্যাগের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হবে এবং মানবিক মানুষ হিসেবে পথচলাকে সুগম করবে।
প্রসঙ্গত, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হ/ত্যাকান্ডের মাধ্যমে এদেশের রাজনীতিতে নিজের আধিপাত্য তৈরী করতে পেরেছিলেন। জাতিকে অন্ধকারের ভিতরে ঠেলে দিয়েছিল ব্যক্তি স্বার্থে।