দাম্পত্য জীবনের ১ বছর না যেতেই গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) নাটোর শহরের চারতলা একটি বাড়ি থেকে আলোচিত সেই কলেজশিক্ষিকা খাইরুন নাহারের (৪৫) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর এ ঘটনায় পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী মামুন হোসেনকে (২২)। আজ সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে শিক্ষক খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রোববার এশার নামাজের আগে বাবার বাড়ির এলাকায় আবু বকর সিদ্দিকী কওমি মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে খামার নাচকৈর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক (আরএমও) সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শরী/রে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরো/ধে তার মৃ/ত্যু হয়েছে। তবে ভিসেরা রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ বিষয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কলেজ ছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার কাজীর অফিসে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এক বছর আগে একই উপজেলার ধারাবাড়িশা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র মামুন ফেসবুকে শিক্ষক নাহারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে এদিকে এবার সংবাদ মাধ্যমে নিজের ছেলেকে নির্দোষ ও পবিত্র বলে দাবি করেছেন মামুনের মা। কান্নাজড়িত কন্ঠে ছেলের মুক্তির দাবি করেন তিনি। পাঠকদের উদ্দেশ্যে ভিডিওটি নিচে দেয়া হলো-