গতকাল সোমবার (০৭ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রোকশানা খানমের (৫২) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই তদন্তের একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকার আপন ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম নওরোজ কবির নিশাত। সে দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিল। আর এই অনৈতিক কাজে বাধা দেয়াই মূলত কাল হয় ওই শিক্ষিকার।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নি’হ’ত শিক্ষিকার ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাতকে একই বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পরে তাকে শিক্ষক ;;হ;;ত্যা;; ‘মা’ম’লা’য় গ্রেফতার করা হয়।
নওরোজ কবির নিশাত ‘নি’হ’ত’ ‘ স্কুল শিক্ষিকা রোকশানা খানমের ভাই এ কে এম নূরে আসলামের ছেলে। তারা শিক্ষিকা যে ভবনে থাকতেন সেই একই ভবনের ৬ষ্ট তলায় থাকতেন। নিঃসন্তান হওয়ায় শিক্ষিকা রোকসানা তার নিজের ছেলের মতো লালনপালন করেন নিশাতকে।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ নিহতের ভাগ্নে নিশাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। পরে তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে তাকে আটক করা হয়। নিশাত অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল।
গ্রেফতারের আগে নওরোজ কবির নিশাত জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফুপু রোকশানা খানমকে ফোন করতে গেলে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে তারা ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস নম্বর ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ দরজা ভেঙে দিতে বলে।
এরপর কয়েকজন দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতেই ওই শিক্ষিকার মৃতদেহ দেখতে পান তারা। এরপর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।