কক্সবাজারের উখিয়া শরণার্থী শিবির থেকে আনা এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার লকাইর গ্রামের আয়নাল হোসেন। বিয়ের পর স্বামীর গ্রামে লোকাইর অবস্থান করছেন রোহিঙ্গা নারী।
জানা যায়, বান্দিঘি গ্রামের হারুনুর রশিদ ও সবুজ মিয়া এক বছর আগে থেকে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বসবাস করে আসছেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা নারী আয়েশা বেগম ও তার মেয়ে রুমা খাতুনের সঙ্গে দেখা করেন। সবুজ মিয়ার ছেলের সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে রুমার বিয়ে ঠিক হয়। গত ৯ জানুয়ারি রুমাকে নিয়ে বান্দিঘি গ্রামে আসেন আয়েশা। সবুজের হাতে সাড়ে তিন লাখ টাকা তুলে দেন তিনি। কিন্তু সবুজ ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
সবুজকে না পেয়ে হারুনুর ও আয়েশা একই উপজেলার পুঁট ইউপির লকাইর গ্রামের আব্দুল মোমেনের ছেলে আয়নাল হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে অবোধ্য হন। কাবিনের জন্য পাশের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে রুমার নামে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা।
রুমা বলেন, মা ও হারুন মামা আমাকে এখানে এনে বিয়ে দিয়েছে। মা সবুজ মামাকে বিয়ের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকাও দিয়েছে। সে আমাদের রেখে পালিয়ে গেছে। আমি আয়নালের সঙ্গে ঘর সংসার করতে চাই।
সাবেক ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে আয়নাল বিয়ে করে বউসহ বাড়ি আসে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে রোহিঙ্গা এক মেয়েকে বিয়ে করেছে।
আয়নাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা মেয়ে জেনেই বিয়ে করেছি। তবে আইন অনুযায়ী যে রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না, তা আমার জানা ছিল না।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের আইনজীবী রায়হান আলী বলেন, ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের জন্য নির্ধারিত এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। এ ছাড়া আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের বিয়ে করা যাবে না।
কালাই থানার ওসি ওয়াসিম আল বারী জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর আগেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।