গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টায় বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজের প্রায় ২৮ দিন পর অবশেষে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হন খুলনার ব্যাপক আলোচিত সেই রহিমা বেগম (৫২)। তবে উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নাকি তিনি আত্মগোপন করেছিলেন।
এছাড়া রহিমা বেগমের প্রতিবেশীদের দাবি, মায়ের কথা তেমন শুনতো না মেয়েরা। এজন্য রহিমা বেগমেরও অভিমান ছিল মেয়েদের প্রতি।
শনিবার রাতে রহিমাকে উদ্ধারের খবর পেয়ে মহিউদ্দিন ও গোলাম কিবরিয়ার বড় ভাই নজরুল ইসলাম দৌলতপুর থানায় ছুটে যান। তিনি বলেন, ‘রহিমা বেগমের তিনটি বিয়ে হয়েছে। মেয়ের ঘটকালি করতে আসলে বেলালকেও বিয়ে করেন রহিমা বেগম। তিনি জানান, রহিমার সৎ ছেলের কাছ থেকে জমি কিনেছেন তার ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া। ওই জমিতে যেতে বাধা দিতে রহিমা অপহরণের মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, ‘মারিয়াম মান্নান একজন নাট্যকার। প্রায় এক মাস পুলিশ ও সাংবাদিকদের মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করেছে। সে ‘মা”দ’কে আ’সক্ত। ময়মনসিংহে গিয়েও তিনি আরেক নারীর লা’শ নিয়ে নাটক ম’ঞ্চস্থ করেন। তিনি আটকদের মুক্তি ও রহিমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান।
তাদের এক প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, মরিয়মের বাবা মান্নান হুজুর তিনটি বিয়ে করেছেন। স্বামীর মৃত্যুতে রহিমা বেগমের পক্ষ ও পূর্বের একটি পক্ষ একই জমি পেলেও রহিমা বেগম অন্য পক্ষকে জমি দখল করতে দেননি। তাই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ভাগের জমি প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি করে দিল। এরপর থেকে প্রতিবেশীরা কখনোই ওই জমির দখল নিতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘ওরা (রহিমা বেগমরা) জমি দখল করতে চাইলে মারামারি শুরু করে। থানা পুলিশ বা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এক বছর আগে এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাদের মারামারি হয়েছিল। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজন তাদের সঙ্গে মিশতে চায় না। সেই দখল ধরে রাখতে তারাই নাটক সাজিয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে থানায় জানিয়েছি। কারণ অন্যের কেনা জমি দখল করলেও আদালত একদিন রায় দেবে রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে। সেই দিন জমি ছেড়ে দিতে হবে। শুধু জমি দখল নয় তারা এই নাটক সাজিয়েছে।’
আর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তবে পরবর্তীতে মাকে জীবিত পেয়ে ভুল শিকার করে নেন তিনি।