দেশের মহামারীর সময়ে যে কয়েকটি মুখ ছিল ফ্রন্ট লাইনে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তবে তিনিও ছিলেন বেশ কিছু মাস ধরে একেবারে অন্তরালে। এ দিকে জানা হঠাৎই গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে (ভেন্টিলেশন) রয়েছেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক দেশবাসীকে তার জন্য দোয়া করতে বলেন। এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, তার মতো একজন সহকর্মী থাকায় আমরা অনেক কাজে সাফল্য আনতে পেরেছি। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। যাতে তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসতে পারেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিন ধরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি এর আগে MRCP (এক ধরনের চৌম্বকীয় অনুরণন ইমেজিং পরীক্ষা, যা লিভার, গলব্লাডার, পিত্ত নালী, অগ্ন্যাশয় এবং অগ্ন্যাশয় নালী সহ হেপাটোবিলিয়ারি এবং প্যানক্রিয়াটিক সিস্টেমের বিশদ চিত্র তৈরি করে) এর মধ্য দিয়েছিলেন। এরপর আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়।
এপিডেমিওলজিস্ট এবং গবেষক প্রফেসর সাব্রিনা ফ্লোরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির চেয়ারপারসন। কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর, নিত্যনতুন তথ্য ও পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসে তিনি সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা দেশের একজন স্বনামধণ্য চিকিৎসাবিধ ছিলেন। তিনি ছিলেন মহমারী বিশেষজ্ঞ। আর এই কারনে দেশের সেই সংকটময় সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পদে বহাল করা হয়। এর আগে তিনি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ছিলেন।