গত সোমবার (১৫ আগস্ট) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জের ঘটনায় চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে আলোচিত সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীকে। এর আগে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল
বরিশাল রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এসএম আকতারুজ্জামান জানান, পুলিশ সুপার মহরম আলীকে চট্টগ্রামে বদলি করার মধ্যদিয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বরগুনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিআইজি।
ডিআইজি আকতারুজ্জামান বলেন, “সবার মধ্যে সৌজন্যবোধ থাকা জরুরি” এবং বলেন, “কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলে প্রথমে তাকে বদলি বা প্রত্যাহার করা হয়। তাই মহরমকেও বদলি করা হয়েছে। মহররম এখানে থেকে যাতে সঠিক তদন্তে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার না করতে পারেন এটাও বদলির আরেকটি কারণ।’
সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের আচরণ বেআইনি ও অনৈতিক। তবে ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ বিভাগ ও সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। এতে সন্তুষ্ট জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ঘটনার পর পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে বরগুনার শিল্পকলায় এক আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদচ্যুত সমর্থক ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলে পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়।
ঘটনাস্থলে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভাঙা কাঁচের ক্ষতিপূরণ ও দোষীর বিচারের কথা বলেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার সামনেই লাঠিচার্জ করে।
গত সোমবার সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো শুরু হয় তোলপাড়। পুলিশ সুপার মহররম আলীর বিরুদ্ধে ততক্ষনাৎ আইনি ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।