নানা বাধা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অবশেষে গত শনিবার (২৫ জুন) বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গতকাল রোববার সকাল ৬ থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে পদ্মাসেতুতে। তবে সেতু খুলতে না খুলতেই একের পর এক ঘটছে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আর এরই জের ধরে পদ্মাসেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক ভিডিও বানানো এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ এক সংবাদ সম্মেলনে ঐ যুবক তিনটি অপরাধ করেছেন বলে জানিয়ে বলেন, পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে দেশের এত বড় স্থাপনার তুচ্ছ ভিডিও করেছেন ওই যুবক। এছাড়া ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথেই তার টিকটক ও ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে তিনটি অপরাধ করেছে।
সংস্থাটি বলছে, ‘অপরাধ করার পর অপরাধীরা যে কাজগুলো করে, সেই একই কাজ করেছে এই যুবক। এখানে তার গিল্টি মাইন্ড রয়েছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, তার অতীতের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছু বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে। ‘
বল্টু যেন কোনোভাবেই হাত দিয়ে খোলা না হয় জানিয়ে রেজাউল মাসুদ বলেন, এটা অবশ্যই কোনো যন্ত্র ব্যবহার করে খোলা হয়েছে, তাদের পরিকল্পনা আছে। তবে আমরা এখনই তা বলতে পারছি না। তদন্ত সাপেক্ষে সবকিছু জানানো হবে। ‘
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা হচ্ছে পদ্মা সেতু। তার কর্মকাণ্ডে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সেতুতে কোনো ঘটনা ঘটলে তার উচিত ছিল সেতু কর্তৃপক্ষ বা পুলিশকে জানানো। কিন্তু তিনি তা করেননি। এটা একটা বড় অপরাধ। ”
এ ঘটনায় ওই যুবক তিনটি অপরাধ করে বলেন, ‘সে মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে এবং নাশকতামূলক কাজ করেছে। এখানে তার গিল্টি মাইন্ড রয়েছে। ”
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রীতিমতো গোটা দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। এ ঘটনায় বাইজীদের সঙ্গে অন্য আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সে বিষয়টি খুতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে বাইজীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।