বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি হয়ে এখনো রয়ে গেছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফখরুদ্দিন আহমেদ। তিনি একটা সময়ে স্বল্পদিনের জন্য চালিয়েছিলেন দেশ। আর সেই সময়টা ছিল দেশের তৎকালীন রাজনীতিবিদদের জন্য কালো অধ্যায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে তাদের ঘরে থাকায় দায় হয়ে গিয়েছিলো।
দেশ যখন একেবারেই অস্থির হয়ে পরে তখন দেশে ঘোষণা করা হয় জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে। আর সেই সময়ে সরকার পতন ঘটিয়ে ক্ষমতা দিয়ে দেয়া হয় সেনাবাহিনীর হাতে। তখন সেনা প্রদান ছিলেন সে সময়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব মঈন উদ্দিন আহমেদ।
এরপর এই মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং ফখরুদ্দিন আহমেদকে নিয়ে গঠন হয় দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এরপর তারা চালাতে থাকে দেশ। আর সেই সময়ে নানা ধরনের কারণ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয় দেশের সে সময়ের সব দলের বড় বড় নেতাকর্মীদের। যার মধ্যে দিয়ে রেহাই পাননি দেশের সব থেকে বড় দুই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা।
একটা সময়ে ফখরুদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় এই দুই নেত্রীকে। এপর প্রায় অনেক দিন ধরেই কারাবাস ভোগ করেন এই দুই নেত্রী। একটা পর্যায়ে নানা ধরনের আন্দোলনের মুখে পড়ে এই দুই নেত্রীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সরকার। আর এরপরেই ঘোষণা করা হয় ২০০৮ নির্বাচনের সময়।
এ দিকে ২০০৮ এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হাতে নেয়ার পরেই দেশ ছেড়ে চলে যান ফখরুদ্দিন আহমেদ। তার কিছুদিন পড়ে দেশ ছেড়ে চলে যান মঈন উদ্দিন আহমেদ। জানা যায় সে সময়ে তারা অবস্থান নেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
এ দিকে সেই থেকেই সবার মনে প্রশ্ন ছিল তবে কোথায় আছেন ক্ষমতাধর দুই ব্যক্তি মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং ফখরুদ্দিন আহমেদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এখনো এই দুই জন অবস্থান করছেন মার্কিন মুলুকেই। তারা সেখানে রয়েছেন বেশ বহাল তবিয়তেই। প্রায়শই নানা ধরনের অনুষ্ঠান এ দেখা যায় ফখরুদ্দিন আহমেদকে। তবে আগের মতো তিনি সচারার বের হননা কোথাও।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্টের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফখরুদ্দিন আহমেদ পিএইচডি সহ সেখানেই করছেন শিক্ষকতা। এ ছাড়াও নানা ধরনের আত্মীয় স্বজনদের অনুষ্ঠানে মাঝে মধ্যে যোগদান করলে তাকে দেখা যায় বাইরে। তার দুই ছেলের একজন সেখানকার অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত আছেন। আর তার আরেক ছেলে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।